Skip to main content

خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ۗوَقَدْ كَانُوْا يُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ وَهُمْ سَالِمُوْنَ   ( القلم: ٤٣ )

khāshiʿatan
خَٰشِعَةً
Humbled
অবনত হবে
abṣāruhum
أَبْصَٰرُهُمْ
their eyes
তাদের দৃষ্টিগুলো
tarhaquhum
تَرْهَقُهُمْ
will cover them
তাদের আচ্ছাদিত করবে
dhillatun
ذِلَّةٌۖ
humiliation
অপমান
waqad
وَقَدْ
And indeed
এবং নিশ্চয়
kānū
كَانُوا۟
they were
তারা ছিল
yud'ʿawna
يُدْعَوْنَ
called
তাদের ডাকা হতো
ilā
إِلَى
to
দিকে
l-sujūdi
ٱلسُّجُودِ
prostrate
সিজদাসমূহের
wahum
وَهُمْ
while they
অথচ তারা
sālimūna
سَٰلِمُونَ
(were) sound
নিরাপদ ছিল

Khaashi'atan absaaruhum tarhaquhum zillatunw wa qad kaanoo yud'awna ilassujoodi wa hum saalimoon (al-Q̈alam ৬৮:৪৩)

English Sahih:

Their eyes humbled, humiliation will cover them. And they used to be invited to prostration while they were sound. (Al-Qalam [68] : 43)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তাদের দৃষ্টি হবে অবনত, অপমান লাঞ্ছনা তাদের উপর চেপে বসবে। (দুনিয়াতে) তারা যখন সুস্থ ও নিরাপদ ছিল তখনও তাদেরকে সেজদা করার জন্য ডাকা হত (কিন্তু তারা সেজদা করত না) (আল কলম [৬৮] : ৪৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে[১] অথচ যখন তারা সুস্থ ছিল, তখন তো তাদেরকে সিজদা করতে আহবান করা হত। [২]

[১] অর্থাৎ, তাদের অবস্থা হবে দুনিয়ার বিপরীত। দুনিয়াতে তো অহংকার ও ঔদ্ধত্যের কারণে তাদের গর্দান উঁচু হয়ে থাকত।

[২] অর্থাৎ, সুস্থ-সবল ও মোটা-তাজা ছিল। আল্লাহর ইবাদত সম্পাদনে কোন জিনিস তাদের জন্য বাধা ছিল না। কিন্তু পৃথিবীতে তারা আল্লাহর ইবাদত করা হতে দূরে থাকত। (আযান ও ইকামতের মাধ্যমে তাদেরকে নামাযের জন্য আহবান করা হত, কিন্তু সুস্থ-সবল থাকা সত্ত্বেও তারা নামাযে আসত না। বলা বাহুল্য, যারা ইহকালে নামাযের মাধ্যমে আল্লাহকে সিজদাহ করে না, তারা পরকালে তাঁকে স্বচক্ষে দেখেও সিজদাহ করতে সক্ষম হবে না। -সম্পাদক)