Skip to main content

خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ۗوَقَدْ كَانُوْا يُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ وَهُمْ سَالِمُوْنَ   ( القلم: ٤٣ )

Humbled
خَٰشِعَةً
অবনত হবে
their eyes
أَبْصَٰرُهُمْ
তাদের দৃষ্টিগুলো
will cover them
تَرْهَقُهُمْ
তাদের আচ্ছাদিত করবে
humiliation
ذِلَّةٌۖ
অপমান
And indeed
وَقَدْ
এবং নিশ্চয়
they were
كَانُوا۟
তারা ছিল
called
يُدْعَوْنَ
তাদের ডাকা হতো
to
إِلَى
দিকে
prostrate
ٱلسُّجُودِ
সিজদাসমূহের
while they
وَهُمْ
অথচ তারা
(were) sound
سَٰلِمُونَ
নিরাপদ ছিল

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তাদের দৃষ্টি হবে অবনত, অপমান লাঞ্ছনা তাদের উপর চেপে বসবে। (দুনিয়াতে) তারা যখন সুস্থ ও নিরাপদ ছিল তখনও তাদেরকে সেজদা করার জন্য ডাকা হত (কিন্তু তারা সেজদা করত না)

English Sahih:

Their eyes humbled, humiliation will cover them. And they used to be invited to prostration while they were sound.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে[১] অথচ যখন তারা সুস্থ ছিল, তখন তো তাদেরকে সিজদা করতে আহবান করা হত। [২]

[১] অর্থাৎ, তাদের অবস্থা হবে দুনিয়ার বিপরীত। দুনিয়াতে তো অহংকার ও ঔদ্ধত্যের কারণে তাদের গর্দান উঁচু হয়ে থাকত।

[২] অর্থাৎ, সুস্থ-সবল ও মোটা-তাজা ছিল। আল্লাহর ইবাদত সম্পাদনে কোন জিনিস তাদের জন্য বাধা ছিল না। কিন্তু পৃথিবীতে তারা আল্লাহর ইবাদত করা হতে দূরে থাকত। (আযান ও ইকামতের মাধ্যমে তাদেরকে নামাযের জন্য আহবান করা হত, কিন্তু সুস্থ-সবল থাকা সত্ত্বেও তারা নামাযে আসত না। বলা বাহুল্য, যারা ইহকালে নামাযের মাধ্যমে আল্লাহকে সিজদাহ করে না, তারা পরকালে তাঁকে স্বচক্ষে দেখেও সিজদাহ করতে সক্ষম হবে না। -সম্পাদক)