وَلَا تَقْعُدُوْا بِكُلِّ صِرَاطٍ تُوْعِدُوْنَ وَتَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ مَنْ اٰمَنَ بِهٖ وَتَبْغُوْنَهَا عِوَجًاۚ وَاذْكُرُوْٓا اِذْ كُنْتُمْ قَلِيْلًا فَكَثَّرَكُمْۖ وَانْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُفْسِدِيْنَ ( الأعراف: ٨٦ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
‘যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য আর আল্লাহর পথ থেকে বাধা দেয়ার জন্য প্রতিটি পথে পাহারা বসিও না, আর তাতে (অর্থাৎ আল্লাহর সহজ-সরল পথে) বক্রতা অনুসন্ধান কর না।’ স্মরণ কর, ‘তোমরা সংখ্যায় অল্প ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদেরকে সংখ্যাধিক্য করে দিয়েছেন। লক্ষ্য কর, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণতি কী হয়েছিল।’
English Sahih:
And do not sit on every path, threatening and averting from the way of Allah those who believe in Him, seeking to make it [seem] deviant. And remember when you were few and He increased you. And see how was the end of the corrupters.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আর তোমরা এই উদ্দেশ্যে পথে পথে বসে থেকো না যে, তোমরা বিশ্বাসীগণকে ভীতি প্রদর্শন করবে, আল্লাহর পথে তাদেরকে বাধা দেবে এবং ওতে বক্রতা (দোষ-ত্রুটি) অনুসন্ধান করবে।[১] স্মরণ কর, তোমরা যখন সংখ্যায় কম ছিলে, আল্লাহ তখন তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। আর বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কিরূপ ছিল, তা লক্ষ্য কর।
[১] আল্লাহর রাস্তা থেকে মানুষকে রোধ করার জন্য তাতে বক্রতা অনুসন্ধান করা প্রত্যেক যুগের অবাধ্যজনদের কাছে বড় পছন্দনীয় কাজ ছিল। আর এর দৃষ্টান্ত বর্তমানে আধুনিক এবং পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণকারী লোকদের মাঝে দেখা যায়। أَعَاذَنَا اللهُ مِنْهُ। এ ছাড়াও রাস্তায় বসার আরো কয়েকটি অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, লোকদের কষ্ট দেওয়ার জন্য বসা। সাধারণতঃ দুষ্ট প্রকৃতিক লোকদের এই অভ্যাস হয়। অথবা শুআইব (আঃ)-এর কাছে যাওয়ার পথগুলোতে বসা। যাতে তাঁর কাছে যারা যায়, তাদেরকে যেতে বাধা দেয় এবং তাঁর ব্যাপারে তাদের মনে খারাপ ধারণা ঢুকিয়ে দেয়; যেমন মক্কার কুরাইশরা করত। কিংবা দ্বীনের পথগুলোতে বসা এবং এ পথের পথিকদের বাধা দেওয়া। এইভাবে লুণ্ঠনের জন্য ঘাঁটিতে বসে থাকা এবং আগমন ও প্রত্যাগমনকারীদের মাল-ধন লুটে নেওয়া। অথবা কারো কারো নিকট কর আদায় করার জন্য তাদের রাস্তায় বসা। ইমাম শাওকানী (রঃ) বলেন, প্রত্যেক অর্থই সঠিক হতে পারে। কেননা, এটাও হতে পারে যে, এ সব কিছুই তারা করত। (ফাতহুল ক্বাদীর)