لِّيَعْلَمَ اَنْ قَدْ اَبْلَغُوْا رِسٰلٰتِ رَبِّهِمْ وَاَحَاطَ بِمَا لَدَيْهِمْ وَاَحْصٰى كُلَّ شَيْءٍ عَدَدًا ࣖ ( الجن: ٢٨ )
Liya'lama an qad ablaghoo risaalaati rabbihim wa ahaata bima ladihim wa ahsaa kulla shai'in 'adadaa (al-Jinn ৭২:২৮)
English Sahih:
That he [i.e., Muhammad (^)] may know that they have conveyed the messages of their Lord; and He has encompassed whatever is with them and has enumerated all things in number. (Al-Jinn [72] : 28)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এটা জানার জন্য যে, রসূলগণ তাদের প্রতিপালকের বাণী সত্যিই পৌঁছে দিয়েছে কিনা। রসূলদের কাছে যা আছে তা তিনি (স্বীয় জ্ঞান দ্বারা) পরিবেষ্টন করে রেখেছেন আর প্রত্যেকটি জিনিসকে গুণে গুণে রেখেছেন। (আল জিন [৭২] : ২৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যাতে তিনি জেনে নেন, তারা তাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছিয়ে দিয়েছে;[১] আর তাদের নিকট[২] যা আছে, তা তাঁর জ্ঞানায়ত্ত এবং তিনি প্রত্যেক জিনিসের সংখ্যা গুনে রেখেছেন। [৩]
[১] لِيَعْلَمَ (যাতে তিনি বা সে---) এর সর্বনাম কার জন্য? কারো নিকট তা রসূল (সাঃ)-এর জন্য। অর্থাৎ, যাতে সে জেনে যায় যে, তার পূর্বের নবীরাও আল্লাহর পয়গাম ঐভাবেই পৌঁছিয়েছে, যেভাবে সে পৌঁছিয়েছে। অথবা দায়িত্বশীল ফিরিশতারা তাদের প্রতিপালকের পয়গাম পয়গম্বরের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। আবার কারো নিকট সর্বনাম মহান আল্লাহর জন্য ব্যবহার হয়েছে। আর তখন এর অর্থ হবে, মহান আল্লাহ ফিরিশতাদের মাধ্যমে তাঁর নবীদের হিফাযত করেন, যাতে তারা নবুঅতের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে সক্ষম হয়। অনুরূপ নবীদের প্রতি কৃত অহীর হিফাযতও তিনি করেন, যাতে তিনি জেনে যান যে, তাঁর নবীরা তাদের প্রতিপালকের পয়গামগুলো ঠিকমত মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে অথবা ফিরিশতারা পয়গম্বরদের কাছে আল্লাহর অহী পৌঁছে দিয়েছে। মহান আল্লাহ যদিও প্রতিটি বিষয়ে পূর্ব থেকেই জ্ঞাত থাকেন, তবুও এই ধরনের স্থানগুলোতে তাঁর জানার অর্থ হল, বিষয় সংঘটিত হওয়ার বাস্তবরূপ দর্শন। যেমন, {لِنَعْلَمَ مَنْ يَتَّبِعُ الرَّسُولَ} (যাতে জানতে পারি যে, কে রসূলের অনুসরণ করে---।) (বাক্বারাহঃ ১৪৩) {وَلَيَعْلَمَنَّ اللهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيَعْلَمَنَّ المُنَافِقِينَ} (আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন কারা বিশ্বাসী এবং কারা মুনাফিক।) (আনকাবূতঃ ১১) ইত্যাদি আয়াতগুলোতে এসেছে। (ইবনে কাসীর)
[২] ফিরিশতাদের নিকট অথবা পয়গম্বরদের নিকট।
[৩] কেননা, তিনিই হলেন অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাতা। যা হয়ে গেছে এবং যা ভবিষ্যতে হবে, সব কিছুকে তিনি গণনা করে রেখেছেন। অর্থাৎ, সব কিছুই তাঁর জ্ঞানায়ত্ত রয়েছে।