وَاِمَّا تَخَافَنَّ مِنْ قَوْمٍ خِيَانَةً فَانْۢبِذْ اِلَيْهِمْ عَلٰى سَوَاۤءٍۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يُحِبُّ الْخَاۤىِٕنِيْنَ ࣖ ( الأنفال: ٥٨ )
Wa immaa takhaafana min qawmin khiyaanatan fambiz ilaihim 'alaa sawaaa'; innal laaha laayuhibbul khaaa'ineen (al-ʾAnfāl ৮:৫৮)
English Sahih:
If you [have reason to] fear from a people betrayal, throw [their treaty] back to them, [putting you] on equal terms. Indeed, Allah does not like traitors. (Al-Anfal [8] : 58)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর যদি তুমি কোন সম্প্রদায়ের চুক্তি ভঙ্গের আশঙ্কা কর তাহলে (তাদের চুক্তিকে) তাদের প্রতি নিক্ষেপ কর যাতে সমান সমান অবস্থা বিরাজিত হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই (ওয়াদা-চুক্তি-প্রতিশ্রুতি) ভঙ্গকারীদের পছন্দ করেন না। (আল-আনফাল [৮] : ৫৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যদি তুমি কোন সম্প্রদায়ের বিশ্বাসঘাতকতার আশংকা কর, তাহলে তোমার চুক্তিও তুমি যথাযথভাবে বাতিল কর। [১] নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদেরকে পছন্দ করেন না। [২]
[১] 'বিশ্বাসঘাতকতা' বলতে সন্ধিচুক্তিতে আবদ্ধ জাতির তরফ হতে চুক্তি ভঙ্গ করার আশঙ্কা। আর 'যথাযথ বা সমভাবে' বলতে তাদেরকে যথারীতি খবর করে দাও যে, আগামীতে আমাদের ও তোমাদের মাঝে কোন সন্ধিচুক্তি থাকবে না। যাতে উভয় দল নিজ নিজ সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে এবং কোন দল অজানা অবস্থায় বা ভুলবশতঃ মারা না পড়ে।
[২] অর্থাৎ, এই চুক্তি ভঙ্গ করা যদি মুসলিমদের পক্ষ থেকেও হয় তবুও তা খিয়ানত; যা মহান আল্লাহ অপছন্দ করেন। মুআবিয়াহ (রাঃ) এবং রোমকদের মাঝে সন্ধিচুক্তি ছিল। যখন চুক্তির সময় শেষ হওয়ার নিকটবর্তী হয়ে এল, তখন মুআবিয়াহ (রাঃ) রোমকদের সীমান্ত এলাকার নিকট নিজের সৈন্যদল জমায়েত করতে শুরু করলেন। উদ্দেশ্য ছিল সন্ধিচুক্তি শেষ হওয়ার পরপরই রোমকদের উপর হামলা চালাবেন। এক সাহাবী আমর বিন আবাসাহ (রাঃ)-এর কানে মুআবিয়াহ (রাঃ)-এর এই প্রস্তুতির খবর পৌঁছলে তিনি এই আক্রমণকে প্রতারণা বলে আখ্যায়িত করলেন এবং রসূল (সাঃ)-এর একটি হাদীস উল্লেখ করে এই আক্রমণকে সন্ধিচুক্তির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করলেন। এ কথা শুনে মুআবিয়াহ (রাঃ) তাঁর সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেন। (মুসনাদে আহমাদ ৫/১১১, আবু দাঊদঃ জিহাদ অধ্যায়, তিরমিযীঃ সিয়ার)