Skip to main content

وَكَذٰلِكَ اَنْزَلْنٰهُ حُكْمًا عَرَبِيًّاۗ وَلَىِٕنِ اتَّبَعْتَ اَهْوَاۤءَهُمْ بَعْدَمَا جَاۤءَكَ مِنَ الْعِلْمِۙ مَا لَكَ مِنَ اللّٰهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا وَاقٍ ࣖ   ( الرعد: ٣٧ )

And thus
وَكَذَٰلِكَ
এবং এভাবে
We have revealed it
أَنزَلْنَٰهُ
তা আমরা অবতীর্ণ করেছি
(to be) a judgment of authority
حُكْمًا
বিধানরূপে
(in) Arabic
عَرَبِيًّاۚ
আরবী ভাষায়
And if
وَلَئِنِ
এবং অবশ্যই যদি
you follow
ٱتَّبَعْتَ
তুমি অনুসরণ করো
their desires
أَهْوَآءَهُم
তাদের খেয়ালখুশীর
after what
بَعْدَمَا
পরেও যা
came to you
جَآءَكَ
তোমার কাছে এসেছে
of
مِنَ
থেকে
the knowledge
ٱلْعِلْمِ
জ্ঞান
not
مَا
নেই
for you
لَكَ
তোমার জন্যে
against
مِنَ
বিরুদ্ধে
Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
any
مِن
কোনো
protector
وَلِىٍّ
অভিভাবক (বাঁচাতে)
and not
وَلَا
এবং না
defender
وَاقٍ
কোনো রক্ষাকারী

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

এভাবে আমি একে বিধানরূপে নাযিল করেছি আরবী ভাষায়। তোমার কাছে জ্ঞান আসার পরেও তুমি যদি তাদের খাহেশের অনুসরণ কর, তবে আল্লাহর মোকাবালায় তোমার কোন অভিভাবক থাকবে না, থাকবে না কোন রক্ষাকারী।

English Sahih:

And thus We have revealed it as an Arabic legislation. And if you should follow their inclinations after what has come to you of knowledge, you would not have against Allah any ally or any protector.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর এভাবে আমি এ (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি আরবী ভাষায় জীবন-বিধান স্বরূপ;[১] জ্ঞান প্রাপ্তির[২] পর তুমি যদি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ কর,[৩] তাহলে আল্লাহর বিরুদ্ধে তোমার কোন অভিভাবক ও রক্ষাকর্তা থাকবে না।[৪]

[১] অর্থাৎ, যেমন তোমার পূর্ববর্তী রসূলদের প্রতি স্থানীয় ভাষায় গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছিলাম, তেমনই তোমার উপর কুরআন আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করলাম। কেননা তোমার প্রথম সম্বোধিত লোকেরা আরব, যারা কেবল আরবী ভাষাই জানে। যদি এই কুরআন অন্য কোন ভাষায় অবতীর্ণ করা হত, তাহলে তারা বুঝতে সক্ষম হতো না, ফলে হিদায়াত গ্রহণ করার ব্যাপারে তাদের জন্য ওজর রয়ে যেত। সুতরাং আমি আরবী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করে তাদের এই ওজর খন্ডন করে দিলাম।

[২] এর অর্থ সেই জ্ঞান যা অহীর মাধ্যমে নবী (সাঃ)-কে প্রদান করা হয়েছে, যাতে ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের আকীদা-বিশ্বাসের বাস্তব রূপও তাঁর কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

[৩] এ থেকে ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের কতিপয় খেয়াল-খুশী ও আকাঙ্ক্ষাকে বুঝানো হয়েছে, যার সম্বন্ধে তারা চেয়েছিল যে, শেষ নবী যেন তা পূরণ করেন, যেমন; বাইতুল মাকদিসকে সর্বদা কিবলা করে রাখা এবং তাদের আকীদা-বিশ্বাসের বিরোধিতা না করা প্রভৃতি।

[৪] এটা বাস্তবে উম্মতের উলামাদের জন্য সতর্কবাণী যে, তারা যেন পার্থিব ক্ষণস্থায়ী সুখ-স্বার্থ লাভের জন্য কুরআন ও হাদীসের মোকাবিলায় লোকেদের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার অনুসরণ না করে। যদি তারা এমনটি করে, তাহলে তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।