Skip to main content

وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ اَزْوَاجًا وَّذُرِّيَّةً ۗوَمَا كَانَ لِرَسُوْلٍ اَنْ يَّأْتِيَ بِاٰيَةٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ ۗلِكُلِّ اَجَلٍ كِتَابٌ   ( الرعد: ٣٨ )

walaqad
وَلَقَدْ
And certainly
এবং নিশ্চয়ই
arsalnā
أَرْسَلْنَا
We sent
আমরা প্রেরণ করেছি
rusulan
رُسُلًا
Messengers
রাসূলদেরকে
min
مِّن
from
থেকেই
qablika
قَبْلِكَ
before you
তোমার পূর্ব
wajaʿalnā
وَجَعَلْنَا
and We made
এবং আমরা দিয়েছিলাম
lahum
لَهُمْ
for them
জন্যে তাদের
azwājan
أَزْوَٰجًا
wives
স্ত্রীসমূহ
wadhurriyyatan
وَذُرِّيَّةًۚ
and offspring
ও সন্তান-সন্ততি
wamā
وَمَا
And not
এবং না
kāna
كَانَ
was
ছিলো (সম্ভব)
lirasūlin
لِرَسُولٍ
for a Messenger
কোনো রাসূলের জন্যে
an
أَن
that
যে
yatiya
يَأْتِىَ
he comes
সে আসবে
biāyatin
بِـَٔايَةٍ
with a sign
কোনো নিদর্শন নিয়ে
illā
إِلَّا
except
ছাড়া
bi-idh'ni
بِإِذْنِ
by the leave
অনুমতি নিয়ে
l-lahi
ٱللَّهِۗ
(of) Allah
আল্লাহর
likulli
لِكُلِّ
For everything
জন্যে প্রত্যেক
ajalin
أَجَلٍ
(is) a time
নির্ধারিত যুগের
kitābun
كِتَابٌ
prescribed
একটি কিতাব (আছে)

Wa laqad arsalnaa Rusulam min qablika wa ja'alnaa lahum azwaajanw wa zurriyyah; wa maa kaana lirasoolin ai yaatiya bi aayatin illaa bi iznil laah; likulli ajalin kitaab (ar-Raʿd ১৩:৩৮)

English Sahih:

And We have already sent messengers before you and assigned to them wives and descendants. And it was not for a messenger to come with a sign except by permission of Allah. For every term is a decree. (Ar-Ra'd [13] : 38)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি তোমার পূর্বেও রসূলগণকে পাঠিয়েছিলাম, আর তাদেরকে দিয়েছিলাম স্ত্রী ও সন্তানাদি, আল্লাহর হুকুম ব্যতীত নিদর্শন হাজির করার শক্তি কোন রসূলের নেই। যাবতীয় বিষয়ের নির্দিষ্ট সময় লিপিবদ্ধ আছে। (রা'দ [১৩] : ৩৮)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমার পূর্বেও আমি অনেক রসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করেছিলাম।[১] আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রসূলের কাজ নয়;[২] প্রত্যেক নির্ধারিত কালের লিপিবদ্ধ গ্রন্থ আছে। [৩]

[১] অর্থাৎ, যত নবী ও রসূল এসেছেন সবাই মানুষই ছিলেন, তাঁদের নিজসব পরিবার, বংশ, স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততি ছিল। তাঁরা না ফিরিশতা ছিলেন আর না মানব রূপে নূরের সৃষ্টি ছিলেন। বরং তারা মানবকুল থেকেই ছিলেন। কেননা যদি তাঁরা ফিরিশতা হতেন তাহলে মানুষের জন্য তাঁদের প্রকৃতির সাথে স্বাভাবিক হওয়া এবং তাঁদের কাছাকাছি হওয়া অসম্ভব ছিল, যার ফলে তাঁদেরকে প্রেরণ করার মুখ্য উদ্দেশ্যই বিফল হয়ে যেত। আর যদি উক্ত ফিরিশতাগণ মানব রূপে আসতেন তাহলে দুনিয়াতে না তাদের পরিবার ও বংশ হতো আর না স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি হতো। এ থেকে জানা গেল যে, সকল নবীগণ মানবকুল থেকেই ছিলেন, মানবরূপে ফিরিশতা অথবা কোন নূরের সৃষ্টি ছিলেন না। উল্লিখিত আয়াতে أزْوَاجًا (স্ত্রী দান করেছিলাম) থেকে বৈরাগ্য বা সন্ন্যাস্বাদ খন্ডন হয়। আর ذُرِّيَّةٌ (সন্তান-সন্ততি দান করেছিলাম) থেকে পরিবার পরিকল্পনার কথা খন্ডন হয়, কেননা ذُرِّيَّةٌ (অর্থগত) বহুবচন শব্দ; যা কমপক্ষে তিন হবে।

[২] অর্থাৎ মু'জিযা (অলৌকিক ঘটনা) প্রদর্শন রসূলদের এখতিয়ারে নেই যে, যখন তাদের কাছে তলব করা হবে, তখনই তা প্রকাশ করে দেখিয়ে দেবেন, বরং এটা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর এখতিয়ারে, তিনি স্বীয় হিকমত ও ইচ্ছা অনুসারে ফায়সালা করেন যে, মু'জিযার প্রয়োজন আছে না নেই। আর যদি আছে, তাহলে কি রকম এবং কখন তা দেখাবার প্রয়োজন আছে।

[৩] অর্থাৎ আল্লাহ যা কিছুরই ওয়াদা করেছেন, তার একটি সময় নির্ধারিত আছে, উক্ত নির্ধারিত সময়ে তা অবশ্যই ঘটবে, কেননা আল্লাহর ওয়াদা ভঙ্গ হয় না। কেউ কেউ বলেছেন যে বাক্যে আগে-পিছে রয়েছে, মূল বাক্য এরূপ لِكُلِّ كِتَابٍ أجَلٌ অর্থাৎ প্রত্যেক সেই বিষয় যা আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তার একটা সময় নির্ধারিত আছে। অর্থাৎ বিষয়টি কাফেরদের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার উপর নয়; বরং কেবল মাত্র আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।