وَيَوْمَ نَبْعَثُ مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ شَهِيْدًا ثُمَّ لَا يُؤْذَنُ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُوْنَ ( النحل: ٨٤ )
Wa yawma nab'asu min kulli ummatin shaheedan summa laa yu'zanu lillazeena kafaroo wa laa hum yusta'taboon (an-Naḥl ১৬:৮৪)
English Sahih:
And [mention] the Day when We will resurrect from every nation a witness [i.e., their prophet]. Then it will not be permitted to the disbelievers [to apologize or make excuses], nor will they be asked to appease [Allah]. (An-Nahl [16] : 84)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
(সেদিন কী অবস্থা হবে) যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব আর কাফিরদেরকে (কোন অযুহাত পেশ করার) অনুমতি দেয়া হবে না, আর ক্ষমা প্রার্থনা করারও সুযোগ দেয়া হবে না। (নাহল [১৬] : ৮৪)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যেদিন আমি প্রত্যেক জাতি হতে এক একজন সাক্ষী দাঁড় করাব।[১] অতঃপর সেদিন অবিশ্বাসীদেরকে (ওযর পেশ করার) অনুমতি দেওয়া হবে না এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও দেওয়া হবে না।
[১] অর্থাৎ, প্রত্যেক নবী তাঁর জাতির জন্য সাক্ষ্য দেবেন যে, তিনি তাদের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তা অগ্রাহ্য করেছিল। ঐ সকল কাফেরদেরকে অজুহাত পেশ করার কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। কারণ তাদের নিকট কোন অজুহাতই থাকবে না। আর না তাদেরকে প্রত্যাবর্তন বা অসন্তোষ দূর করার সময় দেওয়া হবে। কারণ তার প্রয়োজন তখন হয়, যখন কাউকে সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। لاَ يُستَعتَبُون এর অন্য এক অর্থ হল, তাদেরকে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। কারণ সে সুযোগ তাদের পৃথিবীতে দেওয়া হয়েছিল; যা ছিল কর্মস্থল। পরকাল কর্মস্থল নয়; বরং প্রতিদান দেওয়ার দিন। সেখানে মানুষ পৃথিবীতে যা করেছে, তার প্রতিদান পাবে। সেখানে কারো কিছু আমল করার সুযোগ থাকবে না।