Skip to main content

وَاٰتِ ذَا الْقُرْبٰى حَقَّهٗ وَالْمِسْكِيْنَ وَابْنَ السَّبِيْلِ وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيْرًا   ( الإسراء: ٢٦ )

And give
وَءَاتِ
এবং দিবে
the relatives
ذَا
সম্পন্নকে
the relatives
ٱلْقُرْبَىٰ
নৈকট্য (আত্নীয় স্বজনকে)
his right
حَقَّهُۥ
তার প্রাপ্য
and the needy
وَٱلْمِسْكِينَ
ও অভাবগ্রস্তকে
and the wayfarer
وَٱبْنَ
ও ছেলেকে
and the wayfarer
ٱلسَّبِيلِ
পথের (পথচারীকে)
and (do) not
وَلَا
এবং না
spend
تُبَذِّرْ
অপব্যয় করো
wastefully
تَبْذِيرًا
কোনো অপব্যয়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর আত্মীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য অধিকার দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরকেও, আর অপব্যয়ে অপচয় করো না।

English Sahih:

And give the relative his right, and [also] the poor and the traveler, and do not spend wastefully.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি আত্মীয়-স্বজনকে তার প্রাপ্য প্রদান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও।[১] আর কিছুতেই অপব্যয় করো না।

[১] কুরআন কারীমের এই শব্দগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দরিদ্র আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন এবং অভাবী মুসাফিরদের সাহায্য করে তার উপর অনুগ্রহ প্রকাশ করা উচিত নয়। যেহেতু এটা তাদের প্রতি অনুগ্রহ নয়, বরং এটা হল মালের সেই অধিকার, যা মহান আল্লাহ ধনীদের ধন-সম্পদে উল্লিখিত অভাবীদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। ধনী যদি এ অধিকার আদায় না করে, তবে সে আল্লাহর নিকট অপরাধী গণ্য হবে। অর্থাৎ, এটা হল অধিকার আদায় করা, কারো উপর অনুগ্রহ করা নয়। আর আত্মীয়-স্বজনদের কথা প্রথমে উল্লেখ করে এ কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, তাদের অধিকার বেশী ও প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য। আত্মীয়-স্বজনদের অধিকারসমূহ আদায় এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে আত্মীয়তার সম্পর্ক জোড়া (বা জ্ঞাতিবন্ধন বজায় রাখা) বলা হয়। এর উপর ইসলামের বড়ই তাকীদ রয়েছে।