اَوْ خَلْقًا مِّمَّا يَكْبُرُ فِيْ صُدُوْرِكُمْ ۚفَسَيَقُوْلُوْنَ مَنْ يُّعِيْدُنَاۗ قُلِ الَّذِيْ فَطَرَكُمْ اَوَّلَ مَرَّةٍۗ فَسَيُنْغِضُوْنَ اِلَيْكَ رُءُوْسَهُمْ وَيَقُوْلُوْنَ مَتٰى هُوَۗ قُلْ عَسٰٓى اَنْ يَّكُوْنَ قَرِيْبًا ( الإسراء: ٥١ )
aw khalqam mimmaa yakburu fee sudoorikum; fasa yaqooloona mai yu'eedunaa qulil lazee fatarakum awwala marrah; fasa yunghidoona ilaika ru'oosahum wa yaqooloona mataa huwa qul 'asaaa any yakoona qareeba (al-ʾIsrāʾ ১৭:৫১)
English Sahih:
Or [any] creation of that which is great within your breasts." And they will say, "Who will restore us?" Say, "He who brought you forth the first time." Then they will nod their heads toward you and say, "When is that?" Say, "Perhaps it will be soon – (Al-Isra [17] : 51)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
অথবা এমন কিছু যা তোমাদের ধারণায় (জীবিত হওয়া) খুবই কঠিন (তবুও তোমাদেরকে উঠানো হবে)।’ তারা বলবে, ‘কে আছে এমন যে আমাদেরকে পুনরায় জীবনে ফিরিয়ে আনবে?’ বল, ‘তিনিই যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন।’ তখন তারা (ঠাট্টার ছলে) তোমার সামনে মাথা নাড়বে আর বলবে, ‘সেটা কখন ঘটবে?’ বল, ‘হতে পারে সেটা শীঘ্রই ঘটবে।’ (বনী ইসরাঈল [১৭] : ৫১)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
অথবা এমন কোন সৃষ্টি যা তোমাদের ধারণায় খুবই কঠিন।’[১] তারা বলবে, ‘কে আমাদেরকে পুনরুত্থিত করবে?’ বল, ‘তিনিই যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন।’ অতঃপর তারা তোমার সামনে মাথা নাড়বে[২] ও বলবে, ‘ওটা কবে?’ বল, ‘সম্ভবতঃ তা নিকটেই।[৩]
[১] অর্থাৎ, তোমাদের জানা মতে এর থেকেও অধিক শক্ত জিনিস হয়ে যাও এবং তারপর জিজ্ঞাসা কর যে, কে জীবিত করবে?
[২] أَنْغَضَ يُنْغِضُ এর অর্থ হল, মাথা নাড়া। অর্থাৎ, বিদ্রূপ স্বরূপ মাথা নেড়ে তারা বলবে, পুনর্জীবন কখন হবে?
[৩] নিকটেই বলতে যা সংঘটিত হবেই। যেহেতু كُلُّ مَا هُوَ آتٍ فَهُوَ قَرِيْبٌ ঘটবে এমন প্রত্যেকটি জিনিসই নিকটে। عَسى (সম্ভবতঃ) শব্দটিও কুরআনে নিশ্চিত ও অবশ্যম্ভাবীর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, কিয়ামত সংঘটন সুনিশ্চিত ও অবশ্যম্ভাবী।