فَانْطَلَقَا ۗحَتّٰٓى اِذَا لَقِيَا غُلٰمًا فَقَتَلَهٗ ۙقَالَ اَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً؈ۢبِغَيْرِ نَفْسٍۗ لَقَدْ جِئْتَ شَيْـًٔا نُكْرًا ۔ ( الكهف: ٧٤ )
Fantalaqaa hattaa izaa laqiyaa ghulaaman faqatalahoo qaala aqatalta nafsan zakiy yatam bighairi nafs; laqad ji'ta shai'an nukraa (al-Kahf ১৮:৭৪)
English Sahih:
So they set out, until when they met a boy, he [i.e., al-Khidhr] killed him. [Moses] said, "Have you killed a pure soul for other than [having killed] a soul? You have certainly done a deplorable thing." (Al-Kahf [18] : 74)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারপর তারা চলতে লাগল। চলতে চলতে এক বালককে তারা দেখতে পেল। তখন সে তাকে হত্যা করে ফেলল। মূসা বলল, ‘আপনি কি এক নিরাপরাধ জীবনকে কোন প্রকার হত্যার অপরাধ ছাড়াই হত্যা করে দিলেন? আপনি তো গুরুতর এক অন্যায় কাজ করে ফেললেন!’ (কাহফ [১৮] : ৭৪)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
অতঃপর তারা চলতে লাগল; চলতে চলতে তাদের সাথে এক বালকের[১] সাক্ষাৎ হলে সে তাকে হত্যা করল। তখন মূসা বলল, ‘আপিন কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন হত্যার অপরাধ ছাড়াই?! আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।’ [২]
[১] 'বালক' বলতে তরুণ, কিশোর অথবা শিশু হতে পারে।
[২] نُكْرًا، فَظِيْعًا مُنْكَرًا لاَ يُعْرَفُ فِي الشَّرْعِ এত বড় অন্যায় কাজ, শরীয়তে যে কাজের কোন বৈধতা নেই। কেউ কেউ বলেছেন, এর অর্থ হল, أَنْكَرُ مِنَ الأَمْرِ الأَوَّلِ প্রথম কাজ (নৌকা ছিদ্র করার) থেকেও আরো বড় অন্যায়। কারণ, হত্যা এমন কাজ, যার ক্ষতিপূরণ ও সংশোধন সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে নৌকা ছিদ্র করে দেওয়া এমন ক্ষতিকর কাজ, যার ক্ষতিপূরণ ও সংশোধন হতে পারে। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন, الأَوَّلِ أَقَلُّ مِنَ الأَمْرِ (প্রথম কাজের থেকেও কম অন্যায়) কারণ, একটি প্রাণকে হত্যা করা সমস্ত মানুষকে ডুবিয়ে দেওয়ার তুলনায় লঘু অন্যায়। (ফাতহুল কাদীর) তবে প্রথম অর্থই বেশী সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ, মূসা (আঃ) শরয়ী যে জ্ঞান রাখতেন, সেই জ্ঞানের আলোকে এ কাজ অবশ্যই শরীয়ত বিরোধী ছিল। তাই তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন এবং এই কাজগুলোকে অতি গুরুতর অন্যায় বলে গণ্য করেছিলেন।