Skip to main content

فَبَدَّلَ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا قَوْلًا غَيْرَ الَّذِيْ قِيْلَ لَهُمْ فَاَنْزَلْنَا عَلَى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا رِجْزًا مِّنَ السَّمَاۤءِ بِمَا كَانُوْا يَفْسُقُوْنَ ࣖ  ( البقرة: ٥٩ )

fabaddala
فَبَدَّلَ
But changed
কিন্তু পরিবর্তন করল
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
ẓalamū
ظَلَمُوا۟
wronged
সীমালঙ্ঘন করেছিল
qawlan
قَوْلًا
(the) word
কথা
ghayra
غَيْرَ
other (than)
অন্য কিছু
alladhī
ٱلَّذِى
that which
(তা হতে) যা
qīla
قِيلَ
was said
বলা হয়েছিল
lahum
لَهُمْ
to them;
তাদের উদ্দেশ্যে
fa-anzalnā
فَأَنزَلْنَا
so We sent down
আমরা তাই অবতীর্ণ করলাম
ʿalā
عَلَى
upon
(তাদের) উপর
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
ẓalamū
ظَلَمُوا۟
wronged
সীমালঙ্ঘন করেছিল
rij'zan
رِجْزًا
a punishment
শাস্তি
mina
مِّنَ
from
থেকে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِ
the sky
আকাশ
bimā
بِمَا
because
এ কারণে যা
kānū
كَانُوا۟
they were
তারা ছিল
yafsuqūna
يَفْسُقُونَ
defiantly disobeying
তারা সত্যত্যাগ করে

Fabaddalal lazeena zalamoo qawlan ghairal lazee qeela lahum fa anzalnaa 'alal lazeena zalamoo rijzam minas samaaa'i bimaa kaanoo yafsuqoon (al-Baq̈arah ২:৫৯)

English Sahih:

But those who wronged changed [those words] to a statement other than that which had been said to them, so We sent down upon those who wronged a punishment [i.e., plague] from the sky because they were defiantly disobeying. (Al-Baqarah [2] : 59)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কিন্তু যারা অত্যাচার করেছিল তারা তাদেরকে যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল, কাজেই যালিমদের প্রতি আমি আকাশ হতে শাস্তি প্রেরণ করলাম, কারণ তারা সত্য ত্যাগ করেছিল। (আল বাকারা [২] : ৫৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

কিন্তু যারা অন্যায় করেছিল, তারা তাদেরকে যা বলা হয়েছিল, তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল। (১) সুতরাং অনাচারীদের প্রতি আমি আকাশ হতে শাস্তি (২) প্রেরণ করলাম, কারণ তারা সত্যত্যাগ করেছিল।

(১) এর স্পষ্ট বর্ণনা সহীহ বুখারী ও মুসলিম ইত্যাদিতে বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, সিজদানত অবস্থায় প্রবেশ কর, কিন্তু তারা পাছাকে যমীনে হিঁচড়াতে হিঁচড়াতে প্রবেশ করে এবং 'হিত্ত্বাহ'এর পরিবর্তে (হিনত্বাহ) 'হাববাতুন ফী শা'রাহ' (অর্থাৎ, শীষে গম) বলতে বলতে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে কতই না অবাধ্যতা ও ধৃষ্টতা জন্ম নিয়েছিল এবং আল্লাহর বিধানের সাথে তারা কিভাবে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত এ থেকে তা সহজেই অনুমেয়। বস্তুতঃ যখন কোন জাতি চারিত্রিক ও আচার-আচরণে অধঃপতনের শিকার হয়, তখন আল্লাহর বিধানের সাথেও তাদের কার্যকলাপ অনুরূপ হয়ে যায়।




(২) এই আকাশ হতে আগত শাস্তি বা আসমানী আযাব কি ছিল? কয়েকটি উক্তি এ ব্যাপারে এসেছে। যেমন, আল্লাহর গযব, কঠিন ঠান্ডাজনিত কুয়াশা অথবা প্লেগ রোগ। শেষোক্ত অর্থের সমর্থন হাদীসে পাওয়া যায়। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, "এই প্লেগ সেই আযাব ও শাস্তির অংশ যা তোমাদের পূর্বে কোন জাতির উপর নাযিল করা হয়েছিল। তোমাদের উপস্থিতিতে কোন স্থানে যদি এই প্লেগ মহামারী দেখা দেয়, তাহলে সেখান থেকে বের হবে না এবং কোন স্থানে যদি এই মহামারী হয়েছে বলে শোন, তবে সেখানে প্রবেশ করবে না।" (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ সালাম, পরিচ্ছেদঃ পেগ, কুলক্ষণ এবং ভবিষ্যদ্বাণী ইত্যাদি ২২১৮নং)