Skip to main content

يَدْعُوْا لَمَنْ ضَرُّهٗٓ اَقْرَبُ مِنْ نَّفْعِهٖۗ لَبِئْسَ الْمَوْلٰى وَلَبِئْسَ الْعَشِيْرُ   ( الحج: ١٣ )

yadʿū
يَدْعُوا۟
He calls
তারা ডাকে
laman
لَمَن
(one) who -
অবশ্যই এমন কিছুকে
ḍarruhu
ضَرُّهُۥٓ
his harm
যার ক্ষতি
aqrabu
أَقْرَبُ
(is) closer
নিকটতর অধিকতর
min
مِن
than
অপেক্ষা
nafʿihi
نَّفْعِهِۦۚ
his benefit
তার উপকারিতা
labi'sa
لَبِئْسَ
Surely an evil
অবশ্যই কত নিকৃষ্ট
l-mawlā
ٱلْمَوْلَىٰ
protector
অভিভাবক
walabi'sa
وَلَبِئْسَ
and surely an evil
আর অবশ্যই কত নিকৃষ্ট
l-ʿashīru
ٱلْعَشِيرُ
friend!
সঙ্গী

Yad'oo laman darruhooo aqrabu min naf'ih; labi'salmawlaa wa labi'sal 'asheer (al-Ḥajj ২২:১৩)

English Sahih:

He invokes one whose harm is closer than his benefit – how wretched the protector and how wretched the associate. (Al-Hajj [22] : 13)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

সে এমন কিছুকে ডাকে যার লাভের চেয়ে ক্ষতিই নিকটবর্তী, কত মন্দই না এই অভিভাবক, আর কত মন্দই না এই সঙ্গী! (হাজ্জ্ব [২২] : ১৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

সে ডাকে এমন কিছুকে যার অপকার তার উপকার অপেক্ষা নিকটতর; কত নিকৃষ্ট এই অভিভাবক এবং কত নিকৃষ্ট এই সহচর। [১]

[১] কিছু ব্যাখ্যাকারীর নিকট يَدعُو শব্দটি يَقُول এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, গায়রুল্লাহর পূজারী কিয়ামত দিবসে বলবে, যার অপকার তার উপকার অপেক্ষা নিকটতর; কত নিকৃষ্ট সেই অভিভাবক এবং কত নিকৃষ্ট সেই সহচর। অর্থাৎ, এ কথা সে নিজের মাবূদদের সম্পর্কে বলবে। কেননা, সেদিন তার আশার শিশমহল ভেঙ্গে চুরমার হবে এবং এই সমস্ত মাবূদ যাদের ব্যাপারে ধারণা ছিল যে, তারা আল্লাহর আযাব হতে বাঁচাবে, সুপারিশ করবে, সেদিন তারা নিজেরাই তার সাথে জাহান্নামের জ্বালানী হবে। مَولَى অর্থ অভিভাবক, সাহায্যকারী। আর عَشِير অর্থ সহচর সাথী ও নিকটাত্মীয়। সাহায্যকারী ও বন্ধু তো সেই হয়, যে বিপদ ও দুঃখে কাজে আসে। কিন্তু এই সমস্ত মাবূদ নিজেরাই আযাবে বন্দী থাকবে, এরা অন্যের উপকার কিভাবে করবে? সেই কারণে তাদেরকে নিকৃষ্ট অভিভাবক ও সহচর বলা হয়েছে। তাদের ইবাদতে ক্ষতিই আর ক্ষতি আছে; লাভের কোন অংশই নেই। কিন্তু এখানে যে বলা হয়েছে, "যার অপকার তার উপকার অপেক্ষা নিকটতর" (তার মানে তাতে কিছু না কিছু উপকার আছে, কিন্তু) এ কথাটি এমন, যেমন অন্য জায়গায় বলা হয়েছে {وَإِنَّا أَوْ إِيَّاكُمْ لَعَلَى هُدًى أَوْ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ} অর্থাৎ, নিশ্চয় আমরা (আল্লাহর বিশ্বাসী) অথবা তোমরা (অস্বীকারকারিগণ) সৎপথে অথবা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছি। (সূরা সাবা ৩৪;২৪) এ কথা স্পষ্ট যে, সৎপথে তারাই থাকবে যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী। কিন্তু সে কথা স্পষ্ট শব্দে না বলে ইঙ্গিত ও প্রশ্নসূচক শব্দে বলা হয়েছে; যা শ্রোতার মনে বেশি দাগ কাটে এবং প্রভাবশীল হয়। অথবা উক্ত কথার সম্পর্ক দুনিয়ার সাথে। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করায় সত্বর ক্ষতি হল এই যে, সে ঈমান থেকে হাত ধুয়ে বসে; যা নিকটতর অপকার। আর আখেরাতে ওর ক্ষতি তো সুনিশ্চিত।