فَقَالَ الْمَلَؤُا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ مَا هٰذَآ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْۙ يُرِيْدُ اَنْ يَّتَفَضَّلَ عَلَيْكُمْۗ وَلَوْ شَاۤءَ اللّٰهُ لَاَنْزَلَ مَلٰۤىِٕكَةً ۖمَّا سَمِعْنَا بِهٰذَا فِيْٓ اٰبَاۤىِٕنَا الْاَوَّلِيْنَ ۚ ( المؤمنون: ٢٤ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা কুফুরী করেছিল- বলেছিল ; ‘এতো তোমাদের মত মানুষ ছাড়া কিছুই না, সে তোমাদের উপর প্রাধান্য লাভ করতে চায়, আল্লাহ (কাউকে নবীরূপে পাঠানোর) ইচ্ছে করলে তো তিনি ফেরেশতা পাঠাতেন, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের সময়ে এ সব কথা তো শুনিনি।’
English Sahih:
But the eminent among those who disbelieved from his people said, "This is not but a man like yourselves who wishes to take precedence over you; and if Allah had willed [to send a messenger], He would have sent down angels. We have not heard of this among our forefathers.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তার সম্প্রদায়ের অবিশ্বাসী প্রধানগণ বলল, ‘এ তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ, এ তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চাচ্ছে।[১] আল্লাহ ইচ্ছা করলে ফিরিশতাই পাঠাতেন;[২] আমাদের পূর্বপুরুষদের কালে এরূপ ঘটেছে বলে তো আমরা শুনিনি। [৩]
[১] অর্থাৎ, এ তো তোমাদের মতই একজন মানুষ। অতএব কেমন করে সে রসূল বা নবী হতে পারে? আর যদি সে নবুঅত ও রিসালতের দাবী করে, তাহলে তার একমাত্র উদ্দেশ্য তোমাদের উপর প্রাধান্য ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন এবং নিজেকে বড় বলে প্রকাশ করা।
[২] যদি সত্যই মহান আল্লাহ তাঁর রসূল দ্বারা আমাদেরকে বুঝাতে চাইতেন যে, ইবাদতের একমাত্র যোগ্য তিনিই। তাহলে এ কাজের জন্য কোন ফিরিশতাকে রসূল বানিয়ে পাঠাতেন; কোন মানুষকে নয়। তিনি আমাদেরকে তাঁর একত্ববাদের জ্ঞান শিক্ষা দিতেন।
[৩] অর্থাৎ তাওহিদের আহবান এক অদ্ভুত আহবান। ইতিপূর্বে আমাদের পূর্বপুরুষদের যুগেও তা ছিল কি না, তা আমরা শুনিইনি।