Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غَيْرَ بُيُوْتِكُمْ حَتّٰى تَسْتَأْنِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا عَلٰٓى اَهْلِهَاۗ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ   ( النور: ٢٧ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O you
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
who
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
believe!
ঈমান এনেছো
لَا
(Do) not
না
tadkhulū
تَدْخُلُوا۟
enter
তোমরা প্রবেশ করো
buyūtan
بُيُوتًا
houses
ঘরগুলোতে (অন্যদের)
ghayra
غَيْرَ
other (than)
ছাড়া
buyūtikum
بُيُوتِكُمْ
your houses
তোমাদের ঘরগুলো
ḥattā
حَتَّىٰ
until
যতক্ষণ না
tastanisū
تَسْتَأْنِسُوا۟
you have asked permission
তোমরা অনুমতি চাও (ও পাও)
watusallimū
وَتُسَلِّمُوا۟
and you have greeted
ও তোমরা সালাম দাও
ʿalā
عَلَىٰٓ
[on]
উপর
ahlihā
أَهْلِهَاۚ
its inhabitants
তারা অধিবাসীদের
dhālikum
ذَٰلِكُمْ
That
এটা
khayrun
خَيْرٌ
(is) best
উত্তম
lakum
لَّكُمْ
for you
তোমাদের জন্যে
laʿallakum
لَعَلَّكُمْ
so that you may
আশা করা যায় তোমরা
tadhakkarūna
تَذَكَّرُونَ
pay heed
তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে

Yaaa aiyuhal lazeena aamanoo laa tadkhuloo buyootan ghaira buyootikum hatta tastaanisoo wa tusallimoo 'allaa ahlihaa; zaalikum khairul lakum la'allakum tazakkaroon (an-Nūr ২৪:২৭)

English Sahih:

O you who have believed, do not enter houses other than your own houses until you ascertain welcome and greet their inhabitants. That is best for you; perhaps you will be reminded [i.e., advised]. (An-Nur [24] : 27)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না, অনুমতি প্রার্থনা এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেয়া ব্যতীত। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যাতে তোমরা উপদেশ লাভ কর। (আন-নূর [২৪] : ২৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।[১] এটিই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।[২]


[১] পূর্বের আয়াতসমূহে ব্যভিচার, অপবাদ ও তার শাস্তির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। এখানে মহান আল্লাহ গৃহ-প্রবেশের কিছু নিয়ম-নীতি ও আদব-কায়দা বর্ণনা করছেন; যাতে নারী পুরুষের অবাধ মিলামেশা না ঘটে; যা সাধারণতঃ ব্যভিচার বা অপবাদের কারণ হয়ে থাকে। استِينَاس শব্দের অর্থ জানা। অর্থাৎ, যতক্ষণ তোমরা জানতে না পেরেছ যে, ঘরে কে আছে এবং সে তোমাদেরকে ভিতরে আসার অনুমতি না দিয়েছে, ততক্ষণ তোমরা ভিতরে প্রবেশ করবে না। কেউ কেউ تستَأنِسُوا কে تَستَأذِنُوا (অনুমতি নেওয়া) এর অর্থে ব্যবহার করেছেন, যেমন অনুবাদে প্রকাশ হয়েছে। আলোচ্য আয়াতে গৃহ-প্রবেশের অনুমতি নেওয়ার কথা আগে এবং সালাম দেওয়ার কথা পরে উল্লেখ হয়েছে। কিন্তু হাদীস হতে জানা যায় যে, নবী (সাঃ) প্রথমে সালাম দিতেন এবং পরে প্রবেশ করার অনুমতি নিতেন। অনুরূপ মহানবী (সাঃ)-এর এও অভ্যাস ছিল যে, তিনি তিন তিনবার অনুমতি চাইতেন। অতঃপর কোন উত্তর না পেলে তিনি ফিরে যেতেন। নবী (সাঃ)-এর বরকতময় এ অভ্যাসও ছিল যে, অনুমতি চাওয়ার সময় দরজার ডানে অথবা বামে দাঁড়াতেন এবং একেবারে সামনে দাঁড়াতেন না যাতে (দরজা খোলা থাকলে অথবা খোলা হলে) সরাসরি ভিতরে নজর না পড়ে। (বুখারীঃ ইসতি'যান অধ্যায়, আহমদ ৩/১৩৮, আবু দাউদঃ আদব অধ্যায়) অনুরূপ তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে ভিতরে উঁকি মারতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এমনকি বাড়ির ভিতরে যে উঁকি মারে সে ব্যক্তির চোখ বাড়ির লোকে নষ্ট করে দিলেও তার কোন অপরাধ নেই। (বুখারীঃ দিয়াত অধ্যায়, মুসলিমঃ কিতাবুল আদাব) মহানবী (সাঃ)-এর এটাও অপছন্দ ছিল যে, ভিতর থেকে বাড়ির মালিক 'কে তুমি?' জিজ্ঞাসা করলে, তার উত্তরে নাম না বলে কেবল 'আমি' বলা। অর্থাৎ, 'কে' জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে নিজের নামসহ পরিচয় দিতে হবে। (বুখারীঃ ইসতে'যান অধ্যায়, মুসলিমঃ আদাব অধ্যায়)

[২] অর্থাৎ, উপদেশ কাজে বাস্তবায়ন করা। অর্থাৎ, হুট করে ঘরে প্রবেশ করা অপেক্ষা অনুমতি নিয়ে ও সালাম দিয়ে গৃহবাসী ও অতিথি উভয়ের জন্যই শ্রেয়।