Skip to main content

لَا تَجْعَلُوْا دُعَاۤءَ الرَّسُوْلِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاۤءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًاۗ قَدْ يَعْلَمُ اللّٰهُ الَّذِيْنَ يَتَسَلَّلُوْنَ مِنْكُمْ لِوَاذًاۚ فَلْيَحْذَرِ الَّذِيْنَ يُخَالِفُوْنَ عَنْ اَمْرِهٖٓ اَنْ تُصِيْبَهُمْ فِتْنَةٌ اَوْ يُصِيْبَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ   ( النور: ٦٣ )

(Do) not
لَّا
না
make
تَجْعَلُوا۟
তোমরা গণ্য করো
(the) calling
دُعَآءَ
আহ্বানকে
(of) the Messenger
ٱلرَّسُولِ
রাসূলের
among you
بَيْنَكُمْ
তোমাদের মাঝে
as (the) call
كَدُعَآءِ
আহ্বানের মতো
(of) some of you
بَعْضِكُم
তোমাদের একে
(to) others
بَعْضًاۚ
অপরের
Verily
قَدْ
নিশ্চয়ই
Allah knows
يَعْلَمُ
জানেন
Allah knows
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
those who
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) যারা
slip away
يَتَسَلَّلُونَ
তারা সরে পড়ে
among you
مِنكُمْ
মধ্যে হ'তে তোমাদের
under shelter
لِوَاذًاۚ
(আড়ালে) চুপিচুপি
So let beware
فَلْيَحْذَرِ
সুতরাং ভয় করা উচিৎ
those who
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
oppose
يُخَالِفُونَ
বিরুদ্ধাচারণ করে
[from]
عَنْ
বিষয়ে
his orders
أَمْرِهِۦٓ
তাঁর হুকুমের
lest
أَن
যে
befalls them
تُصِيبَهُمْ
(উপরে) পড়বে তাদের
a trial
فِتْنَةٌ
বিপর্যয়
or
أَوْ
অথবা
befalls them
يُصِيبَهُمْ
(উপরে) পড়বে তাদের
a punishment
عَذَابٌ
শাস্তি
painful
أَلِيمٌ
নিদারুণ

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

রসূলের ডাককে তোমরা তোমাদের একের প্রতি অন্যের ডাকের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। কাজেই যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, তাদের উপর পরীক্ষা নেমে আসবে কিংবা তাদের উপর নেমে আসবে ভয়াবহ শাস্তি।

English Sahih:

Do not make [your] calling of the Messenger among yourselves as the call of one of you to another. Already Allah knows those of you who slip away, concealed by others. So let those beware who dissent from his [i.e., the Prophet's] order, lest fitnah strike them or a painful punishment.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরের প্রতি আহবানের মত গণ্য করো না;[১] তোমাদের মধ্যে যারা চুপি চুপি সরে পড়ে, আল্লাহ তাদের জানেন।[২] সুতরাং যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয়[৩] অথবা কঠিন শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে ।

[১] এর একটি অর্থ হল, যেভাবে তোমরা এক অপরকে নাম ধরে ডাক, রসূলকে ঐভাবে ডাকবে না। যেমন 'ওহে মুহাম্মাদ!' না বলে 'হে আল্লাহর রসূল! হে আল্লাহর নবী' ইত্যাদি বলে ডাকবে। (এটি ছিল তাঁর জীবিতকালের নির্দেশ; যখন তাঁকে ডাকা সাহাবাদের প্রয়োজন হত)। এর দ্বিতীয় অর্থ হল, রসূলের বদ্দুআকে অন্যান্যদের বদ্দুআর মত ভেবো না। কারণ নবীর দু'আ কবুল হয়। অতএব তোমরা নবীর বদ্দুআ নেওয়া হতে দূরে থাক; নচেৎ তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।

[২] এ ছিল মুনাফিকদের আচরণ। পরামর্শ সভা হতে তারা চুপিচুপি বেরিয়ে পড়ত।

[৩] 'বিপর্যয়' বলতে অন্তরের সেই বত্রুতাকে বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে ঈমান হতে বঞ্চিত করে ফেলে। এ হল নবী (সাঃ)-এর আদেশ থেকে বিমুখতা প্রদর্শন করা এবং তাঁর বিরোধিতা করার পরিণাম। আর ঈমান থেকে বঞ্চনা ও কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ জাহান্নামের চিরস্থায়ী শাস্তির কারণ; যেমন আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে। অতএব নবী (সাঃ)-এর আদর্শ, তরীকা ও সুন্নতকে সব সময় সামনে রাখা উচিত। কারণ, যেসব কথা ও কাজ সুন্নত মোতাবেক হবে তা আল্লাহর নিকটে গ্রহণীয়; অন্যথা সব প্রত্যাখ্যাত। নবী (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি এমন কর্ম করবে যাতে আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।" (মুসলিম)