Skip to main content

وَالْخَامِسَةُ اَنَّ لَعْنَتَ اللّٰهِ عَلَيْهِ اِنْ كَانَ مِنَ الْكٰذِبِيْنَ  ( النور: ٧ )

wal-khāmisatu
وَٱلْخَٰمِسَةُ
And the fifth
আর পঞ্চমবার (বলবে)
anna
أَنَّ
that
যে
laʿnata
لَعْنَتَ
(the) curse of Allah
অভিশাপ
l-lahi
ٱللَّهِ
(the) curse of Allah
আল্লাহর
ʿalayhi
عَلَيْهِ
(be) upon him
তার উপর (পড়ুক)
in
إِن
if
যদি
kāna
كَانَ
he is
সে হয়
mina
مِنَ
of
অন্তর্ভুক্ত
l-kādhibīna
ٱلْكَٰذِبِينَ
the liars
মিথ্যাবাদীদের

Wal khaamisatu anna la'natal laahi 'alaihi in kaana minal kaazibeen (an-Nūr ২৪:৭)

English Sahih:

And the fifth [oath will be] that the curse of Allah be upon him if he should be of the liars. (An-Nur [24] : 7)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর পঞ্চমবারে বলবে যে, সে যদি মিথ্যেবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লা’নত পতিত হবে। (আন-নূর [২৪] : ৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

এবং পঞ্চমবার বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসবে। [১]

[১] এখানে 'লিআন'এর বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। যার অর্থ হলঃ কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীকে নিজের চোখে অন্য কোন পুরুষের সাথে কুকর্মে লিপ্ত দেখে, যার প্রতক্ষ্যদর্শী সে নিজেই। কিন্তু ব্যভিচারের শাস্তি সাব্যস্ত করার জন্য চারজন সাক্ষীর প্রয়োজন। সেই কারণে নিজের সঙ্গে অতিরিক্ত তিনজন সাক্ষী সংগ্রহ না করতে পারলে স্ত্রীর উপর ব্যভিচারের শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে না। কিন্তু নিজের চোখে দেখার পর এ রকম অসতী স্ত্রী নিয়ে সংসার করাও সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় শরীয়তে এর সমাধান দিয়েছে যে, স্বামী আদালতে কাযীর সামনে চারবার আল্লাহর নামে কসম (শপথ) করে বলবে যে, সে তার স্ত্রী উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়ায় সত্যবাদী। অথবা স্ত্রীর এই সন্তান বা গর্ভ তার নয়। আর পঞ্চমবারে বলবে যে, 'আমি যদি এ ব্যাপারে মিথ্যাবাদী হই, তাহলে আমার উপর আল্লাহর অভিশাপ হোক।' (অনুরূপ স্ত্রীও নিজের উপর লা'নত বা অভিশাপ দেবে। আর স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের এই লা'নত দেওয়ার নামই 'লিআন'।)