Skip to main content

تَبٰرَكَ الَّذِيْ جَعَلَ فِى السَّمَاۤءِ بُرُوْجًا وَّجَعَلَ فِيْهَا سِرَاجًا وَّقَمَرًا مُّنِيْرًا   ( الفرقان: ٦١ )

Blessed is He
تَبَارَكَ
কল্যাণময়
Who
ٱلَّذِى
(সেই সত্ত্বা) যিনি
has placed
جَعَلَ
স্থাপন করেছেন
in
فِى
মধ্যে
the skies
ٱلسَّمَآءِ
আকাশের
constellations
بُرُوجًا
বুরুজ (রাশিচক্র)
and has placed
وَجَعَلَ
ও স্থাপন করেছেন
therein
فِيهَا
মধ্যে তার
a lamp
سِرَٰجًا
প্রদীপ (সূর্য)
and a moon
وَقَمَرًا
ও চাঁদ
shining
مُّنِيرًا
উজ্জ্বল

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কতই না কল্যাণময় তিনি যিনি আসমানে নক্ষত্ররাজির সমাবেশ ঘটিয়েছেন আর তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ আর আলো বিকিরণকারী চন্দ্র।

English Sahih:

Blessed is He who has placed in the sky great stars and placed therein a [burning] lamp and luminous moon.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

কত প্রাচুর্যময় তিনি যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন[১] এবং ওতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ (সূর্য) ও জ্যোতির্ময় চন্দ্র।[২]

[১] بُرُوج শব্দটি بُرْج শব্দের বহুবচন। (এর আসল অর্থ হল প্রকাশ। রাশিচক্র নক্ষত্রমালার প্রাসাদ ও অট্টালিকার মত। আর তা আকাশে প্রকাশ ও স্পষ্ট হওয়ার কারণে 'বুরুজ' বলা হয়।) সালাফদের তফসীরে بُرُوج বলতে বড় বড় গ্রহ-নক্ষত্রকে বুঝানো হয়েছে। আর এই তফসীরে আয়াতের বাগধারায় অর্থ দাঁড়ায় যে, বরকতময় সেই সত্তা, যিনি আকাশে বড় বড় গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তী যুগের তফসীরকারগণ জ্যোতিষীদের পরিভাষার (কল্পিত) রাশিচক্র অর্থ নিয়েছেন। যার সংখ্যা হল বারটি; মেষরাশি, বৃষরাশি, মিথুনরাশি, কর্কটরাশি, সিংহরাশি, কন্যারাশি, তুলারাশি, বৃশ্চিকরাশি, ধনুঃরাশি, মকররাশি, কুম্ভরাশি ও মীনরাশি। আর এই বারটি রাশি সাতটি বড় বড় গ্রহের কক্ষপথ; যাদের নামঃ মঙ্গল, শুক্র, বুধ, চন্দ্র, সূর্য, বৃহস্পতি ও শনি। এই সমস্ত গ্রহ উক্ত রাশিতে এমনভাবে অবস্থান করে যে, ওগুলো যেন তাদের জন্য সুবিশাল প্রাসাদস্বরূপ। (আইসারুত তাফাসীর)

[২] সূরা ইউনুসের ১০;৫ নং আয়াতের মত এ আয়াতেও প্রমাণ হয় যে, চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। সুতরাং বিজ্ঞানের এ কথা বহু পূর্বেই কুরআনে প্রমাণিত হয়েছে।