Skip to main content

اِنِّيْ وَجَدْتُّ امْرَاَةً تَمْلِكُهُمْ وَاُوْتِيَتْ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ وَّلَهَا عَرْشٌ عَظِيْمٌ   ( النمل: ٢٣ )

Indeed I
إِنِّى
নিশ্চয়ই আমি
found
وَجَدتُّ
আমি (দেখতে) পেয়েছি
a woman
ٱمْرَأَةً
একজন মহিলা
ruling them
تَمْلِكُهُمْ
শাসন করে সে তাদেরকে
and she has been given
وَأُوتِيَتْ
এবং তাকে দেওয়া হয়েছে
of
مِن
থেকে
every
كُلِّ
সব
thing
شَىْءٍ
কিছুই
and for her
وَلَهَا
আর আছে তার
(is) a throne
عَرْشٌ
একটি সিংহাসন
great
عَظِيمٌ
বিরাট

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি দেখলাম এক নারী তাদের উপর রাজত্ব করছে আর তাকে সব কিছুই দেয়া হয়েছে আর তার আছে এক বিরাট সিংহাসন।

English Sahih:

Indeed, I found [there] a woman ruling them, and she has been given of all things, and she has a great throne.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি এক মহিলাকে দেখলাম যে, সে সাবাবাসীদের উপর রাজত্ব করছে।[১] তাকে সব কিছুই দেওয়া হয়েছে এবং তার আছে এক বিরাট সিংহাসন। [২]

[১] অর্থাৎ, হুদহুদ পাখীর কাছেও এ কথা আশ্চর্যজনক ছিল যে, সাবায় একজন নারী রাজ্য পরিচালনা করছে। কিন্তু আজ-কাল বলা হচ্ছে যে, নারীরা সব ব্যাপারেই পুরুষদের সমান। যদি পুরুষরা রাজ্য চালাতে পারে, তাহলে নারীরা কেন পারবে না? অথচ এই মতবাদ ইসলামী শিক্ষার বিপরীত। কিছু লোক সাবার রাণী 'বিলকীসের' এই ঘটনা থেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, নারীর নেতৃত্ব বৈধ। অথচ কুরআনে তা কেবল একটি ঘটনা হিসাবেই বর্ণিত হয়েছে। এ ঘটনার সাথে নারী-নেতৃত্ব বৈধ-অবৈধতার কোন সম্পর্ক নেই। নারী-নেতৃত্ব অবৈধ হওয়ার ব্যাপারে কুরআন-হাদীসে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

[২] কথিত আছে যে, সিংহাসনটি ছিল ৮০ হাত লম্বা আর ৪০ হাত চওড়া ও ৩০ হাত উঁচু। যার মধ্যে ছিল মুক্তা, লাল রঙের পদ্মরাগ ও সবুজ রঙের পান্না ইত্যাদির কারুকার্য। আর আল্লাহই ভালো জানেন। (ফাতহুল কাদীর) তবে মনে হয় এ কথায় অতিরঞ্জন রয়েছে। ইয়ামানে রাণী বিলকীসের প্রাসাদের যে ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, তার মধ্যে এত বিশাল সিংহাসন সংকুলান হওয়ার জায়গাই নেই।