وَقَالَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ وَيْلَكُمْ ثَوَابُ اللّٰهِ خَيْرٌ لِّمَنْ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ۚوَلَا يُلَقّٰىهَآ اِلَّا الصّٰبِرُوْنَ ( القصص: ٨٠ )
Wa qaalal lazeena ootul 'ilma wailakum sawaabul laahi khairul liman aamana wa 'amila saalihaa; wa laa yulaq qaahaaa illas saabiroon (al-Q̈aṣaṣ ২৮:৮০)
English Sahih:
But those who had been given knowledge said, "Woe to you! The reward of Allah is better for he who believes and does righteousness. And none are granted it except the patient." (Al-Qasas [28] : 80)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলল- ‘ধিক তোমাদের প্রতি, আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠতর তাদের জন্য যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে, আর সত্যপথে অবিচল ধৈর্যশীল ছাড়া অন্য কেউ তা প্রাপ্ত হয় না। (আল কাসাস [২৮] : ৮০)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আর যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছিল তারা বলল, ‘ধিক্ তোমাদের! যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ।[১] আর ধৈর্যশীল ব্যতীত তা অন্য কেউ পায় না।’[২]
[১] অর্থাৎ, যাদের নিকট ধর্মীয় জ্ঞান ছিল এবং পৃথিবীর বাহ্যিক চাকচিক্য ও তার আসল স্বরূপ সম্পর্কে অভিজ্ঞ ছিল, তারা বলল, এটা কি? এটা তো কিছুই না। আল্লাহ ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদের জন্য যে প্রতিদান ও পুণ্য রেখেছেন তা এর তুলনায় অনেকগুণ শ্রেয়। যেমন হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে, "আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব জিনিস প্রস্তুত রেখেছি, যা কোন চক্ষু দর্শন করেনি, কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং কারো কল্পনাতেও তা আসেনি।"
(বুখারীঃ তাওহীদ অধ্যায়, মুসলিমঃ ঈমান অধ্যায়)
[২] يَلَقَّاهَا এর هَا (তা) সর্বনাম দ্বারা পূর্বের বাক্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর এটি আল্লাহর উক্তি। অন্যথা যদি এটিকে জ্ঞানীদের কথার শেষাংশ ধরে নেওয়া যায়, তাহলে 'তা' বলতে জান্নাত বুঝানো হবে। অর্থাৎ, জান্নাতের অধিকারী ঐ সকল ধৈর্যশীলরাই হবে, যারা পৃথিবীর ভোগ-বিলাস হতে দূরে থেকে কেবলমাত্র আখেরাতের জীবনের প্রতি আগ্রহী থাকে।