مَثَلُ مَا يُنْفِقُوْنَ فِيْ هٰذِهِ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا كَمَثَلِ رِيْحٍ فِيْهَا صِرٌّ اَصَابَتْ حَرْثَ قَوْمٍ ظَلَمُوْٓا اَنْفُسَهُمْ فَاَهْلَكَتْهُ ۗ وَمَا ظَلَمَهُمُ اللّٰهُ وَلٰكِنْ اَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُوْنَ ( آل عمران: ١١٧ )
Masalu maa yunfiqoona fee haazihil hayaatid dunyaa kamasali reehin feehaa sirrun as aabat harsa qawmin zalamooo anfusahum fa ahlakath; wa maa zalamahumul laahu wa laakin anfusahum yazlimoon (ʾĀl ʿImrān ৩:১১৭)
English Sahih:
The example of what they spend in this worldly life is like that of a wind containing frost which strikes the harvest of a people who have wronged themselves [i.e., sinned] and destroys it. And Allah has not wronged them, but they wrong themselves. (Ali 'Imran [3] : 117)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এ পার্থিব জীবনে তারা যা ব্যয় করে তার দৃষ্টান্ত হিমশীতল বাতাসের মত যা নিজেদের প্রতি যুলমকারী সম্প্রদায়ের শস্যক্ষেত্রকে আঘাত করে এবং তাকে নষ্ট করে। মূলতঃ তাদের প্রতি আল্লাহ কোন প্রকার যুলম করেননি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলম করে থাকে। (আল ইমরান [৩] : ১১৭)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তারা যা কিছু পার্থিব জীবনে ব্যয় করে, তার দৃষ্টান্ত হিম-শীতল ঝঞ্জা বায়ুর মত, যা যে জাতি নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছে, তাদের শস্যক্ষেত্রকে আঘাত করে ও তা বিনষ্ট করে দেয়।[১] বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের প্রতি যুলুম করেন না, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করে থাকে।
[১] কিয়ামতের দিন কাফেরদের ধন-সম্পদ না কোন উপকারে আসবে, না তাদের সন্তান-সন্তুতি; এমন কি বাহ্যিকভাবে জন-সাধারণের কল্যাণ ও মঙ্গলের কাজে যে সব অর্থ ব্যয় করে, তাও ব্যর্থ হয়ে যাবে। আর এর উদাহরণ হল, সেই প্রচন্ড ঠান্ডা অথবা গরম প্রবল ঝড়ো হাওয়ার মত, যা সবুজ-শ্যামল শস্যক্ষেতকে ধ্বংস করে দেয়। অত্যাচারী তো এই ক্ষেত দেখে বড়ই আনন্দবোধ করে এবং তার লাভের প্রতি চরম আশাবাদী থাকে, কিন্তু হঠাৎ করে তার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা মাটিতে মিশে যায়। এ থেকে জানা গেল যে, কল্যাণ ও মঙ্গলের কাজে অর্থ ব্যয়কারীদের দুনিয়াতে যতই প্রশংসা হোক না কেন, ঈমান না আনা পর্যন্ত আখেরাতে তারা এ সব কাজের কোনই প্রতিদান পাবে না। সেখানে আছে তাদের জন্য জাহান্নামের চিরন্তন শাস্তি।