قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِكُمْ سُنَنٌۙ فَسِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِيْنَ ( آل عمران: ١٣٧ )
Qad khalat min qablikum sunanum faseeroo fil ardi fanzuroo kaifa kaana 'aaqiba tul mukazzibeen (ʾĀl ʿImrān ৩:১৩৭)
English Sahih:
Similar situations [as yours] have passed on before you, so proceed throughout the earth and observe how was the end of those who denied. (Ali 'Imran [3] : 137)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমাদের পূর্বেও অনেক সম্প্রদায় গত হয়েছে, তোমরা দুনিয়া পর্যটন কর, তারপর দেখ, যারা মিথ্যা ব’লে অমান্য করেছিল তাদের পরিণাম কী দাঁড়িয়েছে। (আল ইমরান [৩] : ১৩৭)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
অতীতে তোমাদের পূর্বে বহু ঘটনা অতিবাহিত হয়েছে, সুতরাং তোমরা পৃথিবী ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যাশ্রয়ীদের পরিণাম কি ছিল! [১]
[১] উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের সৈন্য সংখ্যা ছিল সাতশ'। তাদের মধ্য থেকে ৫০ জন তীরন্দাজের একটি দলকে রসূল (সাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ)-এর নেতৃত্বে (জাবালে রুমাত) ছোট পাহাড়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে নিযুক্ত করে বলেছিলেন, আমরা জিতে যাই বা হেরে যাই, কোন অবস্থাতেই তোমরা এখান থেকে নড়বে না। তোমাদের কাজ হবে, কোন অশবারোহী এদিকে এলে তাকে তীর ছুঁড়ে পশ্চাৎপদ হতে বাধ্য করা। কিন্তু যখন মুসলিমরা বিজয় লাভ করে গনীমতের মাল জমা করছিলেন, তখন এই দলের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল। কেউ কেউ বলতে লাগলেন, নবী করীম (সাঃ)-এর উদ্দেশ্য ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখান থেকে নড়া হবে না। এখন যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে, কাফেররা পশ্চাদপসরণ করেছে। অতএব আর এখানে থাকার কোন প্রয়োজন নেই। কাজেই তাঁরা সেখান থেকে চলে এসে মাল-পত্র জমা করার কাজে লেগে গেলেন। সেখানে নবী করীম (সাঃ)-এর নির্দেশের আনুগত্য করে কেবল দশজন সাহাবী রয়ে গেলেন। এদিকে ঘাঁটি শূন্য পেয়ে কাফেরা উপকৃত হল। তাদের অশবারোহী দল মুসলিমদের পিছন থেকে পাল্টা আক্রমণ করে বসল। অতর্কিতে এই আক্রমণের কারণে মুসলিমদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিল এবং তাঁরা স্বাভাবিকভাবে বহু কষ্টের শিকারও হলেন। এই আয়াতগুলোতে মহান আল্লাহ মুসলিমদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বলছেন যে, তোমাদের সাথে যা কিছু হয়েছে, তা নতুন কিছু নয়; পূর্বেও এ রকম হয়ে এসেছে। শেষ পর্যন্ত ধ্বংস ও বরবাদী তাদের ভাগ্যেই নেমে আসে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।