Skip to main content

وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنٰهُمْ عَلَيْكَ مِنْ قَبْلُ وَرُسُلًا لَّمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَ ۗوَكَلَّمَ اللّٰهُ مُوْسٰى تَكْلِيْمًاۚ   ( النساء: ١٦٤ )

warusulan
وَرُسُلًا
And Messengers
এবং (এসব) রাসূলদেরকে
qad
قَدْ
surely
নিশ্চয়ই
qaṣaṣnāhum
قَصَصْنَٰهُمْ
We (have) mentioned them
আমরা তাদের বর্ণনা করেছি
ʿalayka
عَلَيْكَ
to you
তোমার নিকট
min
مِن
from
(থেকে)
qablu
قَبْلُ
before
ইতিপূর্বে
warusulan
وَرُسُلًا
and Messengers
এবং (এমন সব) রাসূলও (ছিলেন)
lam
لَّمْ
not
না
naqṣuṣ'hum
نَقْصُصْهُمْ
We (have) mentioned them
আমরা তাদের বর্ণনা করেছি
ʿalayka
عَلَيْكَۚ
to you
তোমার কাছে
wakallama
وَكَلَّمَ
And spoke
এবং কথা বলেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Allah
আল্লাহ
mūsā
مُوسَىٰ
(to) Musa
মূসার (সাথে)
taklīman
تَكْلِيمًا
(in a) conversation
(সরাসরি) কথাবার্তা

Wa Rusulan qad qasas naahum 'alaika min qablu wa Rusulal lam naqsushum 'alaik; wa kallamallaahu Moosaa takleemaa (an-Nisāʾ ৪:১৬৪)

English Sahih:

And [We sent] messengers about whom We have related [their stories] to you before and messengers about whom We have not related to you. And Allah spoke to Moses with [direct] speech. (An-Nisa [4] : 164)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি সেই রসূলদের প্রতিও ওয়াহী পাঠিয়েছি যাদের সম্পর্কে আমি তোমাকে আগেই বলেছি, আর অনেক রসূল যাদের কথা আমি তোমাকে বলিনি। আর আল্লাহ মূসার সাথে কথা বলেছেন সরাসরি। (আন নিসা [৪] : ১৬৪)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয় আমি অনেক রসূলের কথা পূর্বে তোমার নিকট বর্ণনা করেছি[১] এবং অনেক রসূলের কথা তোমার নিকট বর্ণনা করিনি। [২] আর মূসার সাথে আল্লাহ সাক্ষাৎ বাক্যালাপ করেছেন।[৩]

[১] যে সকল নবী ও রসূলগণের নাম ও তাঁদের ঘটনাবলী কুরআন কারীমে বর্ণিত হয়েছে ,তাঁদের সংখ্যা ২৪ অথবা ২৫ যথাঃ (১) আদম (আঃ) (২) ইদরীস (আঃ) (৩) নূহ (আঃ) (৪) হূদ (আঃ) (৫) সালেহ (আঃ) (৬) ইবরাহীম (আঃ) (৭) লূত (আঃ) (৮) ইসমাঈল (আঃ) (৯) ইসহাক (আঃ) (১০) ইয়াক্বূব (আঃ) (১১) ইউসুফ (আঃ) (১২) আইউব (আঃ) (১৩) শুআইব (আঃ) (১৪) মূসা (আঃ) (১৫) হারূন (আঃ) (১৬) ইউনুস (আঃ) (১৭) দাউদ (আঃ) (১৮) সুলাইমান (আঃ) (১৯) ইলয়্যাস (আঃ) (২০) আল-য়্যাসা' (আঃ) (২১) যাকারিয়া (আঃ) (২২) ইয়াহইয়া (আঃ) (২৩) ঈসা (আঃ) (২৪) যুল কিফল (আঃ) (অধিকাংশ মুফাসসিরগণের নিকটে) (২৫) মুহাম্মাদ (সাঃ)।

[২] যে সকল নবী ও রসূলগণের নাম ও ঘটনাবলী কুরআনে উল্লেখ হয়নি তাঁদের সংখ্যা কত? এ ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন। তবে একটি হাদীস পাওয়া যায় যেটা আম জনতার নিকট খুবই প্রসিদ্ধ, তাতে নবী ও রসূলগণের সংখ্যা এক লাখ চব্বিশ হাজার এবং অন্য এক হাদীসে আট হাজার উল্লেখ হয়েছে। কিন্তু এই হাদীসগুলি অত্যন্ত দুর্বল। অথচ কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে শুধু এতটুকু বুঝা যায় যে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবেলায় যুগে যুগে মহান আল্লাহ নবী ও রসূলগণকে সুসংবাদদাতা ও ভীতি-প্রদর্শনকারী রূপে প্রেরণ করেছেন। অতঃপর নবুঅতের সেই ধারাবাহিকতা শেষ হয় মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মাধ্যমে। কিন্তু শেষনবী (সাঃ)-এর পূর্বে নবী ও রসূলের সংখ্যা কত? এর সঠিক উত্তর আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। পক্ষান্তরে শেষনবী (সাঃ)-এর পরে যত নবুঅতের দাবী করেছে বা করবে, তারা সকলেই দাজ্জাল ও মিথ্যুক। আর তাদের মিথ্যা নবুঅতের অনুসারীগণ ইসলামের গন্ডি হতে খারিজ। যারা উম্মতে মুহাম্মাদিয়া হতে পৃথক এক প্রতিদ্বন্দ্বী উম্মত। যেমন, বাবিয়াহ, বাহাইয়াহ, মীর্যাইয়াহ বা ক্বাদিয়ানী ফির্কা প্রভৃতি। অনুরূপভাবে মির্যা ক্বাদিয়ানীকে প্রতিশ্রুত 'মাসীহ' বলে বিশ্বাসী লাহোরী মির্যায়ী ফির্কাও।

[৩] (অদৃশ্য থেকে গায়বীভাবে অথবা স্পষ্টভাবে।) এটি মূসা (আঃ)-এর পৃথক বৈশিষ্ট্য; যার ফলে তিনি অন্যান্য নবীদের তুলনায় পৃথক মর্যাদার অধিকারী। সহীহ ইবনে হিব্বানের এক বর্ণনার ভিত্তিতে ইমাম ইবনে কাসীর আল্লাহর সাথে সরাসরি কথোপকথনে আদম (আঃ) ও মুহাম্মাদ (সাঃ)-কেও মূসা (আঃ)-এর শরীক বলেছেন। (তাফসীরে ইবনে কাসীর সূরা বাক্বারার ২;২৫৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)