Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَأْكُلُوْٓا اَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ اِلَّآ اَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ ۗ وَلَا تَقْتُلُوْٓا اَنْفُسَكُمْ ۗ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا   ( النساء: ٢٩ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O you
ওহে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
who
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
believe[d]!
ঈমান এনেছে
لَا
(Do) not
না
takulū
تَأْكُلُوٓا۟
eat
তোমরা খেয়ো
amwālakum
أَمْوَٰلَكُم
your wealth
তোমাদের মাল-সম্পদ
baynakum
بَيْنَكُم
between yourselves
তোমাদের মাঝে
bil-bāṭili
بِٱلْبَٰطِلِ
unjustly
অন্যায়ভাবে
illā
إِلَّآ
But
তবে (অবশ্যই)
an
أَن
that
(যে)
takūna
تَكُونَ
(there) be
হবে
tijāratan
تِجَٰرَةً
business
ব্যবসা
ʿan
عَن
on
ভিত্তিতে
tarāḍin
تَرَاضٍ
mutual consent
সন্তোষের
minkum
مِّنكُمْۚ
among you
তোমাদের মধ্যকার
walā
وَلَا
And (do) not
এবং না
taqtulū
تَقْتُلُوٓا۟
kill
তোমরা হত্যা করো
anfusakum
أَنفُسَكُمْۚ
yourselves
তোমাদের নিজেদেরকে
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
kāna
كَانَ
is
হলেন
bikum
بِكُمْ
to you
তোমাদের উপর
raḥīman
رَحِيمًا
Most Merciful
মেহেরবান

Yaaa aiyuhal lazeena aamanoo laa taakulooo amwaalakum bainakum bilbaatili 'illaaa an takoona tijaaratan 'an taraadim minkum; wa laa taqtulooo anfusakum; innal laaha kaana bikum Raheemaa (an-Nisāʾ ৪:২৯)

English Sahih:

O you who have believed, do not consume one another's wealth unjustly but only [in lawful] business by mutual consent. And do not kill yourselves [or one another]. Indeed, Allah is to you ever Merciful. (An-Nisa [4] : 29)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস করো না, তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসায় বৈধ এবং নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনো না কিংবা তোমরা পরস্পরকে হত্যা করো না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি কৃপাময়। (আন নিসা [৪] : ২৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না। [১] তবে তোমাদের পরস্পর সম্মতিক্রমে ব্যবসার মাধ্যমে (গ্রহণ করলে তা বৈধ)।[২] আর নিজেদেরকে হত্যা করো না;[৩] নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।

[১] بِالْبَاطِلِ (অন্যায়ভাবে)এর মধ্যে ধোঁকা-প্রতারণা এবং জাল-জুয়াচুরি, ছল-চাতুরী ও ভেজাল মিশ্রিত করা সহ এমন সব ব্যবসা ও অর্থ উপার্জনের পদ্ধতিও শামিল, যা শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ। যেমন, জুয়া, সুদ ইত্যাদি। অনুরূপ নিষিদ্ধ হারাম জিনিসের ব্যবসা করাও অন্যায়ভাবে পরের মাল ভক্ষণ করার শামিল। যেমন, বিনা প্রয়োজনের ছবি তোলা, গান-বাজনা বা ফিল্ম তথা অশ্লীল ছবির ক্যাসেট, সিডি বা তার প্লেয়ার যন্ত্র ইত্যাদি তৈরী করা, বিক্রি করা এবং মেরামত করা সব কিছুই নাজায়েয।

[২] এর জন্যও শর্ত হল, এই আদান-প্রদান হালাল জিনিসের হতে হবে। হারাম জিনিসের ব্যবসা আপোসে সম্মতিক্রমে হলেও তা হারাম হবে। তাছাড়া আপোসের সম্মতিতে 'খিয়ারে মজলিস'-এর বিষয়ও এসে যায়। অর্থাৎ, যতক্ষণ তারা একে অপর থেকে পৃথক না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় বানচাল করার অধিকার থাকবে। যেমন হাদীসে এসেছে, ((البَيْعَانِ بِالْخِيَارِ مَالَمْ يَتَفَرَّقاَ)) "ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের ততক্ষণ পর্যন্ত (ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে) এখতিয়ার থাকে, যতক্ষণ না তারা একে অপর থেকে পৃথক হয়।" (বুখারী, মুসলিম)

[৩] এর অর্থ আত্মহত্যাও হতে পারে, যা মহাপাপ। আর পাপ করাও হতে পারে, কেননা তাও ধ্বংসের কারণ হয়। আবার কোন মুসলিমকে হত্যা করাও হতে পারে। কারণ, সকল মুসলিম একটি দেহের মত। কাজেই কোন মুসলিমকে হত্যা করা মানেই নিজেকে হত্যা করা।