Skip to main content

فَكَيْفَ اِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ اُمَّةٍۢ بِشَهِيْدٍ وَّجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰٓؤُلَاۤءِ شَهِيْدًاۗ  ( النساء: ٤١ )

fakayfa
فَكَيْفَ
So how (will it be)
কেমন অতঃপর (হবে)
idhā
إِذَا
when
যখন
ji'nā
جِئْنَا
We bring
আমরা হাজির করব
min
مِن
from
মধ্য হতে
kulli
كُلِّ
every
প্রত্যেক
ummatin
أُمَّةٍۭ
nation
উম্মতের
bishahīdin
بِشَهِيدٍ
a witness
একজন সাক্ষী
waji'nā
وَجِئْنَا
and We bring
এবং আমরা হাজির করব
bika
بِكَ
you
তোমাকে
ʿalā
عَلَىٰ
against
উপর
hāulāi
هَٰٓؤُلَآءِ
these (people)
তাদের
shahīdan
شَهِيدًا
(as) a witness
সাক্ষী হিসেবে

Fakaifa izaa ji'naa min kulli ummatim bishaheedinw wa ji'naabika 'alaa haaa'ulaaa 'i Shaheedan (an-Nisāʾ ৪:৪১)

English Sahih:

So how [will it be] when We bring from every nation a witness and We bring you, [O Muhammad], against these [people] as a witness? (An-Nisa [4] : 41)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

সুতরাং তখন কী অবস্থা দাঁড়াবে, যখন আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্য হতে এক একজনকে সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও হাজির করব তাদের উপর সাক্ষ্য দানের জন্য। (আন নিসা [৪] : ৪১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তখন তাদের কি অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী (নবী) উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব? [১]

[১] প্রত্যেক উম্মতের মধ্য থেকে তাদের পয়গম্বর আল্লাহর নিকট সাক্ষ্য দিয়ে বলবেন যে, হে আল্লাহ! আমি তোমার বার্তা আমার জাতির নিকট পৌঁছে দিয়েছি। তারা মানেনি, তাতে আমার কি দোষ? অতঃপর তাদের উপর নবী করীম (সাঃ) সাক্ষ্য দেবেন যে, হে আল্লাহ! এই নবীরা সকলে সত্যবাদী। তিনি (সাঃ) এই সাক্ষ্য সেই কুরআনের ভিত্তিতে দিবেন, যা তাঁর উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং যাতে বিগত নবীগণ ও তাঁদের জাতির ইতিবৃত্ত প্রয়োজনানুযায়ী বর্ণিত হয়েছে। এটা হবে এক কঠিন মুহূর্ত। এর কল্পনা শরীরে কম্পন সৃষ্টি করে দেয়। হাদীসে এসেছে যে, একদা রসূল (সাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর কাছ থেকে কুরআন শোনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তিনি কুরআন শুনাতে শুনাতে যখন এই আয়াতে এসে পৌঁছলেন, তখন রসূল (সাঃ) বললেন, থামো, যথেষ্ট হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি দেখলাম তাঁর দু'চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (সহীহ বুখারী) কিছু লোক বলে থাকে, সাক্ষ্য সেই দিতে পারবে, যে সবকিছু স্বচক্ষে দেখবে। এই জন্যই তারা 'শাহীদ' এর অর্থ করেঃ উপস্থিত ও প্রত্যক্ষদর্শী এবং এইভাবে নবী করীম (সাঃ)-এর ব্যাপারে বুঝায় যে তিনি 'হাযির-নাযির' (সর্বত্র উপস্থিত এবং সব কিছুই দেখেন।) কিন্তু নবী করীম (সাঃ)-কে 'হাযির-নাযির' মনে করলে তাঁকে আল্লাহর গুণে শরীক করা হবে। আর এটা হল শিরক। কেননা, 'হাযির-নাযির' হওয়া কেবলমাত্র আল্লাহ তাআলার গুণ। 'শাহীদ' শব্দ থেকে 'হাযির-নাযির' হওয়া প্রমাণ করার কথা অতি দুর্বল। কারণ, নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতেও সাক্ষ্য দেওয়া যায়। আর কুরআনে বর্ণিত ঘটনাদির চেয়ে অধিক নিশ্চিত জ্ঞান আর কিসের মাধ্যমে হতে পারে? এই নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতেই মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উম্মতকেও কুরআন [شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ] "বিশ্বের সমস্ত মানুষের সাক্ষী হবে" বলেছে। যদি সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য 'হাযির-নাযির' হওয়া জরুরী হয়, তাহলে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সকল উম্মতকে 'হাযির-নাযির' বলে বিশ্বাস করতে হবে। মোট কথা, রসূল (সাঃ)-এর ব্যাপারে এই ধরনের বিশ্বাস রাখা শিরক ও ভিত্তিহীন। أَعَاذَنَا اللهُ مِنْهُ