Skip to main content

لَا يَسْـَٔمُ الْاِنْسَانُ مِنْ دُعَاۤءِ الْخَيْرِۖ وَاِنْ مَّسَّهُ الشَّرُّ فَيَـُٔوْسٌ قَنُوْطٌ   ( فصلت: ٤٩ )

لَّا
(Does) not
না
yasamu
يَسْـَٔمُ
get tired
ক্লান্ত হয়
l-insānu
ٱلْإِنسَٰنُ
man
মানুষ
min
مِن
of
থেকে
duʿāi
دُعَآءِ
praying
দুআ
l-khayri
ٱلْخَيْرِ
(for) the good
ধন-সম্পদের (অথবা কল্যাণের)
wa-in
وَإِن
but if
আর যদি
massahu
مَّسَّهُ
touches him
তাকে স্পর্শ করে
l-sharu
ٱلشَّرُّ
the evil
দুঃখদৈন্য
fayaūsun
فَيَـُٔوسٌ
then he gives up hope
তখন হতাশ হয়
qanūṭun
قَنُوطٌ
(and) despairs
নিরাশ (হয়)

Laa yas'amul insaanu min du'aaa'il khairi wa im massa hush sharru fa ya'oosun qanoot (Fuṣṣilat ৪১:৪৯)

English Sahih:

Man is not weary of supplication for good [things], but if evil touches him, he is hopeless and despairing. (Fussilat [41] : 49)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

মানুষ নিজের কল্যাণ কামনায় দু‘আ প্রার্থনা করতে ক্লান্ত হয় না, আর মন্দ যখন তাকে স্পর্শ করে, তখন সে নৈরাশ্যে ডুবে যায়। (হা-মীম সেজদাহ [৪১] : ৪৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

মানুষ কল্যাণ প্রার্থনায় কোন ক্লান্তি বোধ করে না।[১] কিন্তু যখন তাকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে সম্পূর্ণরূপে নিরাশ হয়ে পড়ে। [২]

[১] অর্থাৎ, দুনিয়ার ধন-সম্পদ ও আসবাব-পত্র, সুস্থতা ও শক্তি, সম্মান ও মর্যাদা এবং অন্যান্য পার্থিব নিয়ামত চাইতে মানুষ ক্লান্ত ও বিরক্ত হয় না; বরং অবিরাম চাইতেই থাকে। এখানে 'মানুষ' বলতে অধিকাংশ মানুষ উদ্দেশ্য।

[২] অর্থাৎ, কষ্ট পৌঁছলেই, নিরাশ হয়ে পড়ে। অথচ, আল্লাহর খাঁটি বান্দার অবস্থা এর বিপরীত হয়। এরা প্রথমতঃ পার্থিব জীবনের সুখ-সামগ্রী চায় না; বরং সর্বদা তারা আখেরাতের চিন্তা-ভাবনাই করে থাকে। দ্বিতীয়তঃ কষ্ট পৌঁছবার পরও তারা আল্লাহর রহমত এবং তাঁর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ে পড়ে না। বরং পরীক্ষাকেও গোনাহর প্রায়শ্চিত্ত এবং মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ মনে করে থাকে। এই জন্য, নৈরাশ্য তাদের নিকটেও পৌঁছতে পারে না।