Skip to main content

اَللّٰهُ الَّذِيْٓ اَنْزَلَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ وَالْمِيْزَانَ ۗوَمَا يُدْرِيْكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ قَرِيْبٌ   ( الشورى: ١٧ )

Allah
ٱللَّهُ
(তিনিই) আল্লাহ্‌
(is) the One Who
ٱلَّذِىٓ
যিনি
(has) sent down
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
the Book
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
in truth
بِٱلْحَقِّ
সত্যসহ
and the Balance
وَٱلْمِيزَانَۗ
এবং মীযান
And what
وَمَا
এবং কিসে
will make you know?
يُدْرِيكَ
তোমাকে জানাবে
Perhaps
لَعَلَّ
সম্ভবতঃ
the Hour
ٱلسَّاعَةَ
ক্বিয়ামাত
(is) near
قَرِيبٌ
আসন্ন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তিনিই আল্লাহ যিনি সত্য ও ইনসাফের মানদন্ড সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তুমি কি জান, সম্ভবতঃ চূড়ান্ত ফয়সালার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে।

English Sahih:

It is Allah who has sent down the Book in truth and [also] the balance [i.e., justice]. And what will make you perceive? Perhaps the Hour is near.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহই সত্যসহ গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন এবং (অবতীর্ণ করেছেন) তুলাদন্ড।[১] আর তুমি কি জান, সম্ভবতঃ কিয়ামত আসন্ন? [২]

[১] الْكِتَابَ বলতে সকল কিতাব। অর্থাৎ, সমস্ত নবীদের উপর যত কিতাবই অবতীর্ণ হয়েছে, সে সবই ছিল সত্য। অথবা বিশেষভাবে কুরআন মাজীদকে বুঝানো হয়েছে এবং তার সত্যতাকে সুস্পষ্টরূপে তুলে ধরা হয়েছে। 'মীযান' (তুলাদন্ড বা দাঁড়িপাল্লা)র অর্থ, ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার। ইনসাফকে দাঁড়িপাল্লা বলে এই জন্য আখ্যায়িত করা হয়েছে যে, তা হল সমতা ও সুবিচারের যন্ত্র। এর মাধ্যমেই মানুষের মাঝে সমতা বজায় রাখা সম্ভব। এরই সমর্থক হল (নিম্নের) এই আয়াতগুলো, {لَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَأَنْزَلْنَا مَعَهُمْ الْكِتَابَ وَالْمِيْزَانَ لِيَقُوْمَ النَّاسُ بِالْقِسِ} অর্থাৎ, আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলীসহ প্রেরণ করেছি এবং তাদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব এবং মীযান, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে।" (সূরা হাদীদ ৫৭;২৫ আয়াত) {وَالسَّمَاءَ رَفَعَهَا وَوَضَعَ المِيْزَانَ، اَلاَّ تَطْغَوْا فِي الْمِيْزَانِ، وَأَقِيْمُوْا الْوَزَْنَ بِالْقِسْطِ وَلاَ تُخْسِرُوا الْمِيْزَانَ} অর্থাৎ, তিনি আকাশকে সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদন্ড। যাতে তোমরা সীমলঙ্ঘন না কর তুলাদন্ডে। তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না।" (সূরা রহমান ৫৫;৭-৯ আয়াত)

[২] قريب 'মুযাক্কার' (পুংলিঙ্গ) এবং 'মুআন্নাষ' (স্ত্রীলিঙ্গ) উভয়েরই 'সিফাত' (বিশেষণ) হিসাবে ব্যবহার হয়; বিশেষ করে 'মউসুফ' (বিশেষ্য) যদি কোন প্রাণী না হয়। যেমনঃ {اِنَّ رَحْمَتَ اللهِ قَرِيْبٌ مِنَ الْمُحْسِنِيْنَ} (ফাতহুল ক্বাদীর)