فَاَمَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَيُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِيْ رَحْمَتِهٖۗ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْمُبِيْنُ ( الجاثية: ٣٠ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করবেন। ওটাই সুস্পষ্ট সাফল্য।
English Sahih:
So as for those who believed and did righteous deeds, their Lord will admit them into His mercy. That is what is the clear attainment.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
সুতরাং যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে[১] তাদের প্রতিপালক তাদেরকে নিজ করুণায় প্রবেশ করাবেন।[২] এটিই মহাসাফল্য।
[১] এখানেও বিশ্বাস ও ঈমানের সাথে সৎকাজ ও নেক আমলের কথা উল্লেখ করে তার গুরুত্বকে স্পষ্ট করা হয়েছে। আর নেক আমল বলা হয় সেই সব সৎকর্মসমূহকে যা (একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে) সুন্নত (নবী (সাঃ)-এর তরীকা) অনুযায়ী সম্পাদন করা হয়। সেই সব কর্মসমূহকে নেক আমল বলা হয় না, যা মানুষ তার নিজের বিবেকে ভাল মনে করে অতি যত্নসহকারে ও বড়ই উদ্দীপনার সাথে সম্পাদন করে। যেমন, অনেক বিদআতী কার্যকলাপ বহু মযহাবপন্থী জামাআতগুলোর মধ্যে প্রচলিত আছে। আর এ কাজগুলোর গুরুত্ব এ জামাআতের মধ্যে ওয়াজিব ও ফরয কাজের থেকেও অনেক বেশী। এই জন্য এরা বহু ফরয ও সুন্নত কাজকে ব্যাপকহারে ত্যাগ করে, কিন্তু বিদআতী কার্যকলাপ করার প্রতি এমন যত্ন নেয় যে, এতে কোন প্রকারের শৈথিল্য ও উদাসীনতার কথা ভাবাই যায় না। অথচ নবী (সাঃ) বিদআতকে شَرُّ الأمُور (সবচেয়ে নিকৃষ্টতম কাজ) গণ্য করেছেন।
[২] 'রহমত' বা করুণা বলতে জান্নাত বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যেমন, হাদীসে আছে যে, মহান আল্লাহ জান্নাতকে বলবেন, أَنْتِ رَحْمَتِيْ أَرْحَمُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ "তুমি আমার রহমত। তোমার মাধ্যমে (অর্থাৎ, তোমার মধ্যে স্থান দিয়ে) আমি যাকে চাইব রহম করব।" (বুখারী, তাফসীর সূরা ক্বাফ)