۞ يَوْمَ يَجْمَعُ اللّٰهُ الرُّسُلَ فَيَقُوْلُ مَاذَٓا اُجِبْتُمْ ۗ قَالُوْا لَا عِلْمَ لَنَا ۗاِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ ( المائدة: ١٠٩ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আল্লাহ যে দিন রসূলগণকে একত্রিত করবেন; অতঃপর বলবেন, তোমাদেরকে কী জবাব দেয়া হয়েছিল। তারা বলবে, আমরা কিছুই জানি না, তুমিই সকল গোপন তত্ত্ব জান।
English Sahih:
[Be warned of] the Day when Allah will assemble the messengers and say, "What was the response you received?" They will say, "We have no knowledge. Indeed, it is You who is Knower of the unseen" –
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(স্মরণ কর,) যেদিন আল্লাহ রসূলগণকে একত্র করবেন, অতঃপর বলবেন, তোমরা (উম্মতের নিকট থেকে) কি জওয়াব পেয়েছিলে? তারা বলবে, আমাদের কোন জ্ঞান নেই,[১] নিশ্চয় তুমি অদৃশ্য সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত।
[১] নবী-রসূলগণের সাথে তাঁদের সম্প্রদায় ভালো ও মন্দ যে ব্যবহার প্রদর্শন করেছে তার জ্ঞান তো তাঁদের অবশ্যই থাকবে। কিন্তু কিয়ামতের ভয়াবহতা দেখে এবং আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার কারণে ঐ অজ্ঞতা প্রকাশ করবেন। অথবা ঐ অজ্ঞতার সম্পর্ক তাঁদের মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার সাথে হবে। (অর্থাৎ, তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের উম্মতরা কি করেছেন, সে জ্ঞান তাঁদের নেই।) বলা বাহুল্য, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে একমাত্র আল্লাহর নিকটই আছে। এই জন্য তাঁরা বলবেন, অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যক অবগত একমাত্র তুমিই; আমরা নই। এখান থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, নবী ও রসূলগণ গায়েব জানতেন না। 'আলেমুল গায়ব' একমাত্র মহান আল্লাহর সত্তা। পক্ষান্তরে নবী ও রসূলগণ যা কিছুই জানতেন, প্রথমতঃ তার সম্পর্ক সেই জ্ঞানের সাথে হত, যা রেসালতের দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য জরুরী ছিল। দ্বিতীয়তঃ সে জ্ঞান অহীর মাধ্যমে তাঁরা অবগত হতেন। সুতরাং 'আলেমুল গায়ব' তিনিই, যিনি নিজে নিজেই বিনা কোন মাধ্যমে প্রত্যেক জিনিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন, অন্যের বলে দেওয়ার কারণে অথবা কোন মাধ্যম দিয়ে নয়। যেহেতু যিনি অন্যের জানানোর পর বা কোন মাধ্যম দ্বারা কোন জিনিস সম্পর্কে অবগত হন, তাঁকে 'আলেমুল গায়ব' বলা হয় না। অতএব মুসলিমের উচিত, এ সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা এবং উদাসীনদের দলভুক্ত না হওয়া।