আল মায়িদাহ আয়াত ৩৯

অতঃপর সীমালংঘন করার পর কেউ তওবা করলে ও নিজেকে সংশোধন করলে নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন; নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু [১]।

[১] চুরি করার পর তাওবাহ করলে, বান্দা ও আল্লাহর মধ্যকার গোনাহ মাফ হবে। কিন্তু বিচারকের কাছে চুরি যদি প্রমাণিত হয়, তবে তাকে তার শাস্তি পেতেই হবে। এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই। তবে চুরির মাল ফেরত দিতে হবে কি না এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে দুটি মত রয়েছে। [বিস্তারিত জানার জন্য তাফসীরে ইবন কাসীর দ্রষ্টব্য]

অতঃপর যে তার যুলমের পর তাওবা করবে এবং নিজকে সংশোধন করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

কিন্তু যে কেউ তওবা করে তার অন্যায়াচরণের পরে আর সংশোধন কবে, তাহলে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তার দিকে ফিরবেন। নিঃসেন্দহ আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।

অতঃপর যে ব্যক্তি নিজ সীমালংঘনমূলক কার্যক্রম থেকে তাওবা করবে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেবে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

অনন্তর যে ব্যক্তি সীমা লংঘন করার পর (চুরি করার পর) তাওবাহ করে এবং ‘আমলকে সংশোধন করে, তাহলে আল্লাহ তার প্রতি (রাহমাতের) দৃষ্টি বর্ষণ করবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।

Please check ayah 5:40 for complete tafsir.

কিন্তু কেউ যদি অন্যায় করার পর তওবা করে আর সৎকাজ করে তাহলে আল্লাহ তাকে নিশ্চয়ই ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তো ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

৩৯. তবে কেউ চুরি থেকে বিরত থেকে আল্লাহর নিকট তাওবা করে এবং তার আমলটুকু ঠিক করে নিলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা দয়া করে তার তাওবাটুকু গ্রহণ করবেন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের পাপসমূহ ক্ষমাকারী এবং তাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। তবে তাওবার মাধ্যমে তাদের দÐখানা রহিত হবে না যদি ব্যাপারটি প্রশাসকের নিকট পৌঁছে যায়।

Please check ayah 5:40 for complete tafsir.