Skip to main content

مَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ وَمَآ اَنَا۠ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ ࣖ   ( ق: ٢٩ )

مَا
Not
না
yubaddalu
يُبَدَّلُ
will be changed
পরিবর্তন হয়
l-qawlu
ٱلْقَوْلُ
the word
কথার
ladayya
لَدَىَّ
with Me
আমার কাছে
wamā
وَمَآ
and not
এবং না
anā
أَنَا۠
I Am
আমি
biẓallāmin
بِظَلَّٰمٍ
unjust
অবিচারক
lil'ʿabīdi
لِّلْعَبِيدِ
to My slaves"
বান্দাদেরকে/ দাসদেরকে"

Maa yubaddalul qawlu ladaiya wa maaa ana bizal laamil lil'abeed (Q̈āf ৫০:২৯)

English Sahih:

The word [i.e., decree] will not be changed with Me, and never will I be unjust to the servants." (Qaf [50] : 29)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমার কথা কক্ষনো বদলে না, আর আমি আমার বান্দাহদের প্রতি যুলমকারীও নই। (ক্বাফ [৫০] : ২৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমার কথার রদ-বদল হয় না[১] এবং আমি আমার বান্দাদের প্রতি কোন অবিচার করি না।’ [২]

[১] অর্থাৎ, যে সব অঙ্গীকার আমি করেছি, তার বিপরীত কিছুই হবে না, বরং তা সর্বাবস্থায় পূর্ণ হবেই এবং এই নীতি অনুসারে তোমাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে শাস্তির ফায়সালা হয়েছে, যাতে কোন পরিবর্তন হতে পারে না।

[২] অর্থাৎ, এ রকম হতেই পারে না যে, বিনা অপরাধে যা তারা করেনি এবং বিনা পাপে যা তাদের দ্বারা সম্পাদিত হয়নি, আমি তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দেব। (আর আমি বান্দাদের প্রতি যালেম নই।) ظلاَّم (বড় যালেম) এখানে ظالم (যালেম) অর্থে ব্যবহার হয়েছে; যা প্রচলিত কথা হিসাবে বলা হয়েছে। যেমন সাধারণতঃ বলা হয় যে, অমুক ব্যক্তি তার চাকরদের উপর খুব যুলুম করে। অমুক ব্যক্তি বড় যালেম। এ কথাগুলোর উদ্দেশ্য 'মুবালাগা' (আধিক্য) প্রমাণ করা হয় না, বরং তার পক্ষ হতে যে যুলুম হয়, তারই প্রকাশ ঘটানো হয়। অথবা উদ্দেশ্য হল نفي (নেতিবাচক বাক্য)-তে 'মুবালাগা' (আধিক্য প্রকাশ) করা। অর্থাৎ, আমি বান্দাদের উপর সামান্য পরিমাণও যুলুম করব না।