আর আমি তোমাদের চেয়ে তার (অর্থাৎ প্রাণের) নিকটবর্তী, কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা।
English Sahih:
And We [i.e., Our angels] are nearer to him than you, but you do not see –
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আর আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটতর, [১] কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না। [২]
[১] অর্থাৎ, আমি স্বীয় জ্ঞান, ক্ষমতা ও দর্শন করার দিক দিয়ে তোমাদের চাইতেও বেশী মৃতের নিকটবর্তী। অথবা نحن (আমরা) বলতে আল্লাহর কর্মীবৃন্দ তথা মৃত্যুর ফিরিশতাদেরকে বুঝানো হয়েছে, যাঁরা মানুষের জান কবজ করেন।
[২] অর্থাৎ, অজ্ঞতার কারণে তোমাদের এই বোধটুকুও নেই যে, আল্লাহ তোমাদের গ্রীবাস্থিত ধমনী (ঘাড়ের শিরা) অপেক্ষাও বেশী নিকটে। অথবা জান কবযকারী ফিরিশতাকে তোমরা দেখতে পাও না।
2 Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর আমরা তোমাদের চেয়ে তার কাছাকাছি, কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না [১]।
[১] অর্থাৎ এমতাবস্থায়ও আমরা আমাদের ফেরেশতাদের নিয়ে তোমাদের নিকটেই থাকি। এখানে ফেরেশতাগণ বান্দার নিকটে থাকার কথা বলা হয়েছে। এ মতটিই সবচেয়ে সঠিক মত। ইবনে কাসীর এটাই গ্রহণ করেছেন। তিনি এর প্রমাণস্বরূপ বলছেন যে, এর পরে বলা হয়েছে, “কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না’। কারণ, ফেরেশতাদেরকে দেখতে পাওয়া যায় না। যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,
“তিনিই স্বীয় বান্দাদের উপর পরাক্রমশালী এবং তিনিই রক্ষক পাঠান। অবশেষে যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন আমার পাঠানোরা তার মৃত্যু ঘটায় এবং তারা কোন ভুল করে না। তারপর তাদের প্রকৃত প্রতিপালক আল্লাহর দিকে তারা ফিরে আসে। দেখুন, কর্তৃত্ব তো তাঁরই এবং হিসেব গ্রহনে তিনিই সবচেয়ে তৎপর।” [সূরা আল-আন’আম; ৬১-৬২] সেখানে যেভাবে ফেরেশতা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে এখানেও এটাই উদ্দেশ্য। [ইবন কাসীর]
3 Tafsir Bayaan Foundation
আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।
4 Muhiuddin Khan
তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।
5 Zohurul Hoque
আমরা তখন তোমাদের চাইতে তার বেশী নিকটবর্তী কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।