Skip to main content

اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَلَمْ يَلْبِسُوْٓا اِيْمَانَهُمْ بِظُلْمٍ اُولٰۤىِٕكَ لَهُمُ الْاَمْنُ وَهُمْ مُّهْتَدُوْنَ ࣖ  ( الأنعام: ٨٢ )

Those who
ٱلَّذِينَ
যারা
believed
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
and (did) not
وَلَمْ
এবং নি
mix
يَلْبِسُوٓا۟
মিশ্রিত করেছে
their belief
إِيمَٰنَهُم
ঈমান তাদের
with wrong
بِظُلْمٍ
সাথে সীমালঙ্ঘনের
those
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐ সব লোক
for them
لَهُمُ
জন্যে তাদের (রয়েছে)
(is) the security
ٱلْأَمْنُ
নিরাপত্তা
and they
وَهُم
এবং তারা
(are) rightly guided
مُّهْتَدُونَ
সৎপথ প্রাপ্ত

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যারা ঈমান এনেছে আর যুলম (অর্থাৎ শিরক) দ্বারা তাদের ঈমানকে কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা লাভ তারাই করবে আর তারাই হল সঠিক পথপ্রাপ্ত।

English Sahih:

They who believe and do not mix their belief with injustice – those will have security, and they are [rightly] guided.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যারা বিশ্বাস করেছে এবং তাদের বিশ্বাসকে যুলুম (শিরক) দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদেরই জন্য এবং তারাই সৎপথপ্রাপ্ত।[১]

[১] আয়াতে এখানে 'যুলম' বলতে শিরককে বুঝানো হয়েছে। যেমন হাদীসে এসেছে যে, যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) যুলুমের সাধারণ অর্থ (অবজ্ঞা, ত্রুটি, পাপ এবং অত্যাচার ইত্যাদি) মনে করে বড়ই অস্থির হয়ে পড়লেন এবং রসূল (সাঃ)-এর কাছে এসে বলতে লাগলেন, أَيُّنَا لَمْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ 'আমাদের মধ্যে এমন কেই বা আছে, যে যুলুম করেনি?' তখন রসূল (সাঃ) বললেন, "এ থেকে উদ্দেশ্য সে যুলুম নয়, যেটা তোমরা মনে করছ, বরং এ থেকে উদ্দেশ্য শিরক। যেমন, লুকমান (আঃ) তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন, {إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ} "অবশ্যই শিরক হল বড় যুলুম।" (সূরা লুকমান ৩১;১৩) (সহীহ বুখারীঃ তাফসীর সূরা আনআম)