Skip to main content

خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَاَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِيْنَ  ( الأعراف: ١٩٩ )

khudhi
خُذِ
Hold
অবলম্বন করো
l-ʿafwa
ٱلْعَفْوَ
(to) forgiveness
ক্ষমাশীলতা
wamur
وَأْمُرْ
and enjoin
ও নির্দেশ দাও
bil-ʿur'fi
بِٱلْعُرْفِ
the good
সৎকাজের প্রতি
wa-aʿriḍ
وَأَعْرِضْ
and turn away
এবং উপেক্ষা করো
ʿani
عَنِ
from
থেকে
l-jāhilīna
ٱلْجَٰهِلِينَ
the ignorant
মূর্খদের

khuzil 'afwa waamur bil'urfi waa'rid 'anil jaahileen (al-ʾAʿrāf ৭:১৯৯)

English Sahih:

Take what is given freely, enjoin what is good, and turn away from the ignorant. (Al-A'raf [7] : 199)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন কর, সত্য-সঠিক কাজের আদেশ দাও আর জাহিলদেরকে এড়িয়ে চল। (আল আ'রাফ [৭] : ১৯৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন কর,[১] সৎকাজের নির্দেশ দাও[২] এবং মূর্খদেরকে এড়িয়ে চল। [৩]

[১] خُذ العَفو উলামাদের মধ্যে কেউ কেউ এর অর্থ এই বলেছেন যে, خُذ مَا عَفَا لَكَ مِن أَموَالِهِم، أي; مَا فَضَل অর্থাৎ, তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাল তাদের নিকট হতে গ্রহণ কর। এটি যাকাত ফরয হওয়ার পূর্বেকার আদেশ। (ফাতহুল বারী) কিন্তু অন্যান্য মুফাসসিরগণ এর থেকে চারিত্রিক নির্দেশনা অর্থাৎ, ক্ষমা করার অর্থ নিয়েছেন। ইমাম জারীর ও ইমাম বুখারী (রঃ) প্রভৃতি এ অর্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। সুতরাং ইমাম বুখারী উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় উমার (রাঃ)-এর একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন। আর তা হল এই যে, একদা উয়াইনাহ বিন হিসন্ উমার (রাঃ)-এর খিদমতে হাযির হন ও সমালোচনা করতে শুরু করেন যে, আপনি না আমাদের পূর্ণ প্রাপ্য দেন, আর না আমাদের মাঝে ইনসাফ করেন! যার কারণে উমার (রাঃ) রাগান্বিত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতি দেখে উমারের পরামর্শদাতা হুর বিন কায়েস (রাঃ) (উয়াইনার ভাতিজা) বললেন, মহান আল্লাহ নিজ নবী (সাঃ)-কে আদেশ করেন, {خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ} অর্থাৎ, 'ক্ষমা কর, সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং মূর্খদেরকে এড়িয়ে চল। আর ইনি একজন মূর্খ মানুষ। সুতরাং উমার (রাঃ) তাকে ক্ষমা করে দেন। বলাই বাহুল্য যে, উমার (রাঃ) কুরআনের আদেশের সামনে আত্মসমর্পণকারী ছিলেন। (বুখারীঃ সূরা আ'রাফের তাফসীর) এর সমর্থন ঐ হাদীসসমূহ দ্বারাও হয়, যাতে অত্যাচারের মোকাবেলায় ক্ষমা প্রদর্শন, সম্পর্ক ছিন্ন করার মোকাবেলায় সুসম্পর্ক বজায় ও অন্যায়ের মোকাবেলায় সদাচরণ প্রয়োগ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

[২] عرف অর্থাৎ معووف অর্থাৎ, সৎকর্ম।

[৩] অর্থাৎ, সৎকার্যের আদেশ দিয়ে হুজ্জত কায়েম করার পরও যদি সে না মানে, তাহলে তাদেরকে এড়িয়ে চল এবং তাদের ঝগড়া ও মূর্খতার উত্তর দিও না।