Skip to main content

وَلَا تُفْسِدُوْا فِى الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًاۗ اِنَّ رَحْمَتَ اللّٰهِ قَرِيْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِيْنَ   ( الأعراف: ٥٦ )

And (do) not
وَلَا
এবং না
cause corruption
تُفْسِدُوا۟
তোমরা বিপর্যয় সৃষ্টি করো
in
فِى
মধ্যে
the earth
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
after
بَعْدَ
পরেও
its reformation
إِصْلَٰحِهَا
তা সংস্কারের
And call Him
وَٱدْعُوهُ
এবং তোমরা ডাকে তাঁকে
(in) fear
خَوْفًا
ভয়
and hope
وَطَمَعًاۚ
ও আশার (সাথে)
Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়ই
(the) Mercy
رَحْمَتَ
অনুগ্রহ
(of) Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
(is) near
قَرِيبٌ
নিকটে
for
مِّنَ
থেকে
the good-doers
ٱلْمُحْسِنِينَ
সৎকর্মশীলদের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হওয়ার পর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, আর তাঁকে ভয়-ভীতি ও আশা-ভরসা নিয়ে ডাকতে থাক, আল্লাহর দয়া তো (সব সময়) তাদের নিকটে আছে যারা সৎ কাজ করে।

English Sahih:

And cause not corruption upon the earth after its reformation. And invoke Him in fear and aspiration. Indeed, the mercy of Allah is near to the doers of good.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর ওতে বিপর্যয় ঘটায়ো না এবং তাঁকে ভয় ও আশার সঙ্গে আহবান কর। নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী। [১]

[১] এই আয়াতগুলোতে চারটি জিনিসের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। (ক) আল্লাহর কাছে কাকুতি-মিনতি সহকারে এবং গোপনে দু'আ করা। যেমন, হাদীসেও এসেছে যে, "হে লোক সকল! তোমরা নিজের উপর দয়ার্দ্র হও। কেননা, তোমরা কোন বধির ও অনুপস্থিতকে ডাকছ না, বরং তোমরা ডাকছ এমন সত্তাকে যিনি সব কিছু শোনেন এবং দেখেন।" (বুখারীঃ দু'আ অধ্যায়, মুসলিমঃ জান্নাত অধ্যায়) (খ) দু'আতে বাড়াবাড়ি না করা। অর্থাৎ, নিজের যোগ্যতা ও মর্যাদার ঊর্ধ্বে যেন দু'আ না করা হয়। (অনুপযুক্ত কিছু চাওয়া না হয়।) (গ) শান্তি প্রতিষ্ঠার পর ফাসাদ বা অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করা। অর্থাৎ, আল্লাহর অবাধ্যতা করে ফাসাদ সৃষ্টি করার কাজে যেন অংশ না নেওয়া হয়। (ঘ) আল্লাহর শাস্তির ভয় যেন অন্তরে থাকে এবং তাঁর দয়ার আশাও। এইভাবে যারা দু'আ করে, তারাই হল সৎকর্মশীল। আর অবশ্যই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের অতি নিকটবর্তী।