وَلَآ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَآ اَعْبُدُۗ ( الكافرون: ٥ )
Wa laa antum 'aabidoona ma a'bud (al-Kāfirūn ১০৯:৫)
English Sahih:
Nor will you be worshippers of what I worship. (Al-Kafirun [109] : 5)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী নও, (কাফিরুন [১০৯] : ৫)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এবং তোমরা তাঁর ইবাদতকারী নও, যাঁর ইবাদত আমি করি। [১]
[১] কিছু মুফাসসির প্রথম আয়াতের অর্থকে বর্তমান কালের জন্য এবং দ্বিতীয় আয়াতের অর্থকে ভবিষ্যৎ কালের জন্য ব্যবহার করেছেন। (অর্থাৎ, আমি বর্তমানে তোমাদের উপাস্যের ইবাদত করি না এবং তোমরা আমার উপাস্যের ইবাদত কর না এবং ভবিষ্যতেও এরূপ হতে পারে না।) কিন্তু ইমাম শাওকানী (রঃ) বলেছেন, এইরূপ কষ্টকল্পনার কোন প্রয়োজন নেই। যেহেতু তাকীদের জন্য একই বাক্যের পুনরাবৃত্তি আরবী ভাষার সাধারণ রীতি। এই প্রকার রীতি কুরআন কারীমের কয়েক স্থানে; যেমন, সূরা রাহমান ও সূরা মুরসালাতে ব্যবহার করা হয়েছে। অনুরূপ এই সূরাতেও অর্থকে জোরদার করার জন্য বারবার একই বাক্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। মোট কথা হল, এটা কখনই সম্ভব নয় যে, আমি তাওহীদের পথ পরিত্যাগ করে শিরকের পথ অবলম্বন করে নেব; যেমন তোমরা চাচ্ছ। আর যদি আল্লাহ তোমাদের ভাগ্যে হিদায়াত না লিখে থাকেন, তাহলে তোমরাও তাওহীদ ও আল্লাহর উপাসনা থেকে বঞ্চিতই থাকবে। এ কথা সেই সময় বলা হয়েছে, যখন কাফেররা মহানবী (সাঃ)-এর কাছে এই (নিরপেক্ষ সন্ধি) প্রস্তাব রাখল যে, এক বছর আমরা তোমার উপাস্যের ইবাদত করব এবং এক বছর তুমি আমাদের উপাস্যের ইবাদত করবে।