হিজর আয়াত ১৩

এরা কুরআনের প্রতি ঈমান আনবে না, আর অবশ্যই গত হয়েছে পূর্ববর্তীদের রীতি [১]।

[১] অর্থাৎ পূর্ববর্তীদের রীতি চলে গেছে যে, তারা ঈমান আনেনি। আর আল্লাহও তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাদের উপর আযাব নাযিল করেছেন। সুতরাং বর্তমানকালের কাফের সম্প্রদায়ের অবস্থাও তদ্রুপ হবে, তারা ঈমান আনবে না, আর আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেবেন। [জালালাইন, আইসারুত তাফাসীর, মুয়াসসার]

তারা এতে ঈমান আনবে না, আর পূর্ববর্তীদের (ব্যাপারে আল্লাহর) রীতি তো বিগত হয়েছে।

ওরা এর প্রতি বিশ্বাস করবে না। পূর্ববর্তীদের এমন রীতি চলে আসছে।

তারা এতে বিশ্বাস করে না, অথচ পূর্ববর্তীদের নজীর অবশ্যই গত হয়েছে।

যে, তারা এর প্রতি ঈমান আনবে না। পূর্ববর্তী লোকদের রীতিও এ রকমই চলে এসেছে।

তারা কুরআনে বিশ্বাস করবেনা এবং অতীতে পূর্ববর্তীদেরও এই আচরণ ছিল।

Please check ayah 15:15 for complete tafsir.

ওরা এতে (কোরআনে) বিশ্বাস করবে না। পূর্ববর্তীরাও এরকম আচরণ করেছিল।

১৩. তারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর নাযিলকৃত এ কুর‘আনের প্রতি ঈমান আনবে না। তবে রাসূলগণ আনীত বিধানের প্রতি মিথ্যারোপকারীদের ধ্বংসের ব্যাপারে আল্লাহর নীতি চলমান। তাই আপনার প্রতি মিথ্যারোপকারীদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।

১০-১৩ নং আয়াতের তাফসীর

আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) সান্তনা দিয়ে বলছেনঃ “হে নবী (সঃ)! মানুষ তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই কারণ, তোমার পূর্ববর্তী নবীদেরকেও অনুরূপভাবে মিথ্যা প্রতিপন্ন করাহয়েছিল। প্রত্যেক রাসূলকেই তার উম্মতের লোক মিথ্যাবাদী বলেছিল এবং সে তাদের কাছে উপহাসের পাত্র হয়েছিল।

মহান আল্লাহ বলেনঃ হঠকারিতা ও অহংকারের কারণে আমি অপরাধ ও পাপীদের অন্তরে রাসূলদের অবিশ্বাস ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করার খেয়াল জাগিয়ে তুলি। তাতেই তখন তারা মজা ও আনন্দ উপভোগ করে। এখানে মুজরিম বা অপরাধীদের দ্বারা মুশরিকদের বুঝানো হয়েছে। তারা সত্যকে বিশ্বাস করতেই চায় না। আল্লাহ পাক বলেন যে, পূর্ববর্তীদের আচরণ তাদের মধ্যে এসে গেছে। সুতরাং তাদের পরিণাম তাদের পূর্ববর্তীদের মতই হবে। যেমন তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল এবং তাদের নবীরা মুক্তি পেয়েছিলেন ও মু'মিনরা নিরাপত্তা লাভ করেছিল, তেমনই অবস্থা এদেরও হবে এটা তাদের স্মরণ রাখা উচিত। নবীর (সঃ) অনুসরণেই রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ, আর তাঁর বিরুদ্ধাচরণেই রয়েছে উভয় জগতে লাঞ্ছণা ও অপমান।