Skip to main content

وَسَلٰمٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوْتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا ࣖ  ( مريم: ١٥ )

And peace be
وَسَلَٰمٌ
এবং সালাম
upon him
عَلَيْهِ
তার উপর
(the) day
يَوْمَ
যেদিন
he was born
وُلِدَ
জন্মলাভ করে সে
and (the) day
وَيَوْمَ
ও যেদিন
he dies
يَمُوتُ
সে মরবে
and (the) day
وَيَوْمَ
এবং যেদিন
he will be raised
يُبْعَثُ
তাকে উঠানো হবে
alive
حَيًّا
জীবিত অবস্থায়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তার উপর শান্তি যেদিন সে জন্মেছে, যেদিন তার মৃত্যু হবে আর যেদিন সে জীবন্ত হয়ে উত্থিত হবে।

English Sahih:

And peace be upon him the day he was born and the day he dies and the day he is raised alive.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তার প্রতি শান্তি তার জন্মদিনে, তার মৃত্যুদিনে এবং তার পুনরুজ্জীবনের দিনে। [১]

[১] মানুষের জন্য তিনটি সময় কঠিন ও ভয়াবহ। (ক) যখন মানুষ মায়ের গর্ভ থেকে পৃথিবীতে আসে। (খ) যখন মৃত্যুর কবলে পতিত হয়। এবং (গ) যখন কবর হতে জীবিত করে উঠানো হবে এবং নিজেকে কিয়ামতের ভয়াবহতায় পরিবেষ্টিত দেখবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, এই তিন সময়েই তার জন্য থাকবে শান্তি ও নিরাপত্তা। বিদআতীরা এই আয়াত দ্বারা (মহানবীর) জন্মোৎসব (নবীদিবস) পালন করার বৈধতা প্রমাণ করে। কিন্তু তাদের নিকট জিজ্ঞাস্য যে, মৃত্যুর দিনে মৃত্যু-উৎসব পালন করাও তাদের জন্য জরুরী। কেননা জন্ম দিনের জন্য যেমন সালাম (শান্তি) শব্দ ব্যবহার হয়েছে তেমনি মৃত্যুর জন্যও সালাম শব্দ ব্যবহার হয়েছে। শুধু সালাম শব্দ দ্বারা যদি 'ঈদে মীলাদ' (জন্মোৎসব) সাব্যস্ত হয়, তাহলে সালাম শব্দ দ্বারা 'ঈদে ওফাত' (মৃত্যু-উৎসব)ও সাব্যস্ত হবে। কিন্তু এখানে মৃত্যু-উৎসব তো দূরের কথা বরং নবী (সাঃ)-এর মৃত্যুকেই অস্বীকার করা হয়। নবী (সাঃ)-এর মৃত্যুকে অস্বীকার করে কুরআনের আয়াতকে তো অস্বীকার করেই থাকে; উপরন্তু তারা তাদের দলীল গ্রহণের পদ্ধতি অনুসারে আলোচ্য আয়াতের এক অংশের উপর ঈমান রাখে এবং ঐ আয়াতেরই দ্বিতীয় অংশের উপর ঈমান রাখে না। {أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ} অর্থাৎ, তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশের উপর ঈমান আনবে, আর কিছুকে অস্বীকার করবে? (বাক্বারাহঃ ৮৫)