Skip to main content

وَلِلّٰهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَاَيْنَمَا تُوَلُّوْا فَثَمَّ وَجْهُ اللّٰهِ ۗ اِنَّ اللّٰهَ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ   ( البقرة: ١١٥ )

And for Allah
وَلِلَّهِ
এবং আল্লাহরই জন্যে
(is) the east
ٱلْمَشْرِقُ
পূর্ব
and the west
وَٱلْمَغْرِبُۚ
ও পশ্চিম
so wherever
فَأَيْنَمَا
অতএব যে দিকেই
you turn
تُوَلُّوا۟
মুখ ফিরাও তোমরা
[so] there
فَثَمَّ
অতঃপর সেখানেই
(is the) face
وَجْهُ
দিক
(of) Allah
ٱللَّهِۚ
আল্লাহ্‌র
Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়ই
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌
(is) All-Encompassing
وَٰسِعٌ
সর্বব্যাপী
All-Knowing
عَلِيمٌ
সবকিছু জানেন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

পূর্ব পশ্চিম আল্লাহরই, সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ কর না কেন, সেদিকেই আছে আল্লাহর চেহারা, আল্লাহ সুবিস্তৃত, সর্বজ্ঞ।

English Sahih:

And to Allah belongs the east and the west. So wherever you [might] turn, there is the Face of Allah. Indeed, Allah is all-Encompassing and Knowing.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

পূর্ব ও পশ্চিম (সর্বদিক) আল্লাহরই। সুতরাং যে দিকেই মুখ ফেরাও, সে দিকই আল্লাহরই দিক (মুখমন্ডল)। [১] নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বদিক পরিবেষ্টনকারী, সর্বজ্ঞ।

[১] হিজরতের পর মুসলিমরা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামায পড়ত। ফলে এ নিয়ে তাদের মনে ব্যথা ছিল। ঠিক সেই সময়ে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। কেউ বলেন, এ আয়াত তখন অবতীর্ণ হয়েছিল, যখন বায়তুল মুক্বাদ্দাস থেকে পুনরায় কা'বার দিকে মুখ করে নামায পড়ার নির্দেশ হয় এবং এ ব্যাপারে ইয়াহুদীরা বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করে। আবার কেউ বলেছেন, এর অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হল, সফরে বাহনের উপর নফল নামায পড়ার অনুমতি দান। অর্থাৎ, সওয়ারীর মুখ যেদিকেই থাকুক না কেন সেদিকে মুখ করেই নামায পড়া যাবে। কখনো কয়েকটি কারণ একত্রে জমায়েত হয়ে যায় এবং সেই সমস্ত কারণের (শরীয়তী) বিধান বর্ণনায় একটিই আয়াত নাযিল হয়ে থাকে। আর তখন এই শ্রেণীর আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ বর্ণনার পশ্চাতে একাধিক বর্ণনা বর্ণিত হয়। কোন বর্ণনায় একটি কারণ তুলে ধরা হয়, আবার অপর এক বর্ণনায় অন্য একটি কারণ তুলে ধরা হয়। আলোচ্য আয়াতটিও সেই শ্রেণীভুক্ত। (আহসানুত তাফাসীর থেকে সংগৃহীত সার-সংক্ষেপ)