۞ لَيْسَ عَلَيْكَ هُدٰىهُمْ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَاۤءُ ۗوَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ فَلِاَنْفُسِكُمْ ۗوَمَا تُنْفِقُوْنَ اِلَّا ابْتِغَاۤءَ وَجْهِ اللّٰهِ ۗوَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ يُّوَفَّ اِلَيْكُمْ وَاَنْتُمْ لَا تُظْلَمُوْنَ ( البقرة: ٢٧٢ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাদেরকে ঠিক পথে নিয়ে আসা তোমার দায়িত্ব নয়, বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছে ঠিক পথে পরিচালিত করেন, বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, তা তোমাদের নিজেদের জন্যই এবং তোমরা তো শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই ব্যয় করে থাক এবং যা কিছু তোমরা মাল হতে ব্যয় করবে, তোমাদেরকে তার ফল পুরোপুরি দেয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।
English Sahih:
Not upon you, [O Muhammad], is [responsibility for] their guidance, but Allah guides whom He wills. And whatever good you [believers] spend is for yourselves, and you do not spend except seeking the face [i.e., approval] of Allah. And whatever you spend of good – it will be fully repaid to you, and you will not be wronged.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার দায়-দায়িত্ব তোমার নয়, বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। আর তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, তা নিজেদের উপকারের জন্যই। আল্লাহর মুখমন্ডল (দর্শন বা সন্তুষ্টি) ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে তোমরা দান করো না। আর তোমরা যা দান কর, তার পুরস্কার পূর্ণভাবে প্রদান করা হবে[১] এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।
[১] তফসীরের বর্ণনায় এই আয়াতের শা'নে নুযূল সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, মুসলিমরা তাদের মুশরিক আত্মীয়-স্বজনদেরকে সাহায্য করা বৈধ মনে করত না এবং তারা চাইত যে, এরা (মুশরিকরা) মুসলিম হয়ে যাক। তাই মহান আল্লাহ বললেন, হিদায়াতের পথে নিয়ে আসা তো কেবলমাত্র আল্লাহর এখতিয়ারাধীন। আর দ্বিতীয় কথা বলা হল যে, তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যা কিছু ব্যয় করবে, তার পুরাপুরি প্রতিদান তোমরা পাবে। এ থেকে জানা গেল যে, দান করে অমুসলিম আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখাতেও নেকী পাওয়া যায়। তবে যাকাত কেবলমাত্র মুসলিমদের অধিকার, তা কোন অমুসলিমকে দেওয়া যেতে পারে না।