فَأْتِيٰهُ فَقُوْلَآ اِنَّا رَسُوْلَا رَبِّكَ فَاَرْسِلْ مَعَنَا بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ ەۙ وَلَا تُعَذِّبْهُمْۗ قَدْ جِئْنٰكَ بِاٰيَةٍ مِّنْ رَّبِّكَ ۗوَالسَّلٰمُ عَلٰى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدٰى ( طه: ٤٧ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
কাজেই তোমরা দু’জন তার কাছে এসো আর বল- আমরা তোমার প্রতিপালকের রসূল, কাজেই বানী ইসরাঈলকে আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দাও, তাদের প্রতি উৎপীড়ন করো না। তোমার প্রতিপালকের নিদর্শনসহই আমরা তোমার কাছে এসেছি, আর শান্তি বর্ষিত হোক তাদের প্রতি যারা সৎ পথ অনুসরণ করে।
English Sahih:
So go to him and say, 'Indeed, we are messengers of your Lord, so send with us the Children of Israel and do not torment them. We have come to you with a sign from your Lord. And peace will be upon he who follows the guidance.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
সুতরাং তোমরা তার নিকট যাও এবং বল, অবশ্যই আমরা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত রসূল, সুতরাং আমাদের সাথে বানী ইসরাঈলকে যেতে দাও এবং তাদেরকে কষ্ট দিয়ো না। আমরা তো তোমার নিকট এনেছি তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে নিদর্শন এবং সালাম (শান্তি) তাদের প্রতি যারা সৎ পথের অনুসরণ করে।[১]
[১] এ সালাম অভিবাদনের জন্য নয়; বরং শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি আমন্ত্রণ। যেমন মহানবী (সাঃ) রোমসম্রাট হিরাকলকে পত্রে লিখেছিলেন أَسلِم تَسلَم অর্থাৎ, ইসলাম গ্রহণ করে নাও, শান্তিতে বসবাস করবে। এভাবে তিনি পত্রের শুরুতে {وَالسَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى} (শান্তি তাদের প্রতি যারা সৎপথের অনুসরণ করে) এ কথাগুলো লিখতেন। (ইবনে কাসীর) এর অর্থ এই যে, কোন অমুসলিমকে পত্র লিখলে বা কোন সভায় সম্বোধন করতে হলে উক্ত শব্দাবলী দ্বারা সালাম দেওয়া যেতে পারে; যা সৎপথ গ্রহণের সাথে শর্ত-সাপেক্ষ।