كُلُوْا مِنْ طَيِّبٰتِ مَا رَزَقْنٰكُمْۙ وَلَا تَطْغَوْا فِيْهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِيْۚ وَمَنْ يَّحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِيْ فَقَدْ هَوٰى ( طه: ٨١ )
Kuloo min taiyibaati maa razaqnaakum wa laa tatghaw feehi fa yahilla 'alaikum ghadabee wa mai yahlil 'alaihi ghadabee faqad hawaa (Ṭāʾ Hāʾ ২০:৮১)
English Sahih:
[Saying], "Eat from the good things with which We have provided you and do not transgress [or oppress others] therein, lest My anger should descend upon you. And he upon whom My anger descends has certainly fallen [i.e., perished]." (Taha [20] : 81)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে উত্তমগুলো আহার কর, আর এতে বাড়াবাড়ি করো না, করলে তোমাদের উপর আমার ‘আযাব সাব্যস্ত হয়ে যাবে। আর আমার ‘আযাব যার উপর সাব্যস্ত হয় সে তো ধ্বংসই হয়ে যায়। (ত্বোয়া-হা [২০] : ৮১)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তোমাদের যে উপজীবিকা দান করলাম তা হতে পবিত্র বস্তু ভক্ষণ কর এবং এ বিষয়ে সীমালংঘন করো না। [১] করলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ পতিত হবে। আর যার উপরে আমার ক্রোধ পতিত হবে সে অবশ্যই ধ্বংস হবে। [২]
[১] طُغيَان এর অর্থঃ সীমালংঘন করা। অর্থাৎ হালাল ও পবিত্র জিনিসের সীমা ছেড়ে হারাম ও অপবিত্র জিনিসের দিকে অতিক্রম করো না। অথবা আল্লাহর অনুগ্রহসমূহকে অস্বীকার করে বা অনুগ্রহকারীর অবাধ্য হয়ে সীমালংঘন করো না। এই সমস্ত ভাবার্থের উপর طُغيَان শব্দ ব্যবহার করা যায়। আর কেউ কেউ বলেন যে, এখানে طُغيَان এর অর্থ হল, তোমরা প্রয়োজন মত পাখি ধর এবং প্রয়োজনের বেশী ধরে সীমা অতিক্রম করো না।
[২] এর অন্য এক অর্থ বর্ণনা করা হয়, আর তা হল, 'সে হাবিয়া তথা জাহান্নামে পতিত হবে।' হাবিয়া জাহান্নামের নিম্নস্তরকে বলা হয়। অর্থাৎ সে জাহান্নামের গভীর বিভাগের উপযুক্ত বাসিন্দা হবে।