Skip to main content

اِنَّ الَّذِيْنَ سَبَقَتْ لَهُمْ مِّنَّا الْحُسْنٰىٓۙ اُولٰۤىِٕكَ عَنْهَا مُبْعَدُوْنَ ۙ  ( الأنبياء: ١٠١ )

inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those
যাদের (জন্যে)
sabaqat
سَبَقَتْ
has gone forth
পূর্বেই নির্ধারিত হয়েছিলো
lahum
لَهُم
for them
জন্যে তাদের
minnā
مِّنَّا
from Us
আমাদের থেকে
l-ḥus'nā
ٱلْحُسْنَىٰٓ
the good
কল্যাণ
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
those
ঐসব লোককে
ʿanhā
عَنْهَا
from it
তা থেকে
mub'ʿadūna
مُبْعَدُونَ
(will be) removed far
দূরে রাখা হবে

Innal lazeena sabaqat lahum minnal husnaaa ulaaa'ika 'anhaa mub'adoon (al-ʾAnbiyāʾ ২১:১০১)

English Sahih:

Indeed, those for whom the best [reward] has preceded from Us – they are from it far removed. (Al-Anbya [21] : 101)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

পূর্ব থেকেই আমার পক্ষ হতে যাদের জন্য কল্যাণ নির্ধারিত আছে তাদেরকে তাত্থেকে (অর্থাৎ জাহান্নাম থেকে) বহু দূরে রাখা হবে। (আম্বিয়া [২১] : ১০১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয় যাদের জন্য আমার নিকট থেকে পূর্ব হতে কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে, তাদেরকে তা (জাহান্নাম) হতে দূরে রাখা হবে। [১]

[১] কোন কোন মানুষের মনে এ প্রশ্ন জাগতে পারে বা মুশরিকদের পক্ষ হতে এ প্রশ্ন উঠতে পারে; বরং বাস্তবে উঠেও থাকে যে, যেমন ঈসা (আঃ), উযায়র, ফিরিশতা ও বহু সৎলোকদেরও তো ইবাদত করা হয়ে থাকে, তাহলে এরাও কি তাদের ইবাদতকারীর সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে? এ আয়াতে সে উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর তা এই যে, তাঁরা ছিলেন আল্লাহর নেক বান্দা; যাঁদের নেকীর কারণে আল্লাহর পক্ষ হতে তাঁদেরকে চিরস্থায়ী সুখী জীবন বা জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জাহান্নাম হতে সুদূরে থাকবেন। এ শব্দগুলি দ্বারা এ কথাও পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে, যে ব্যক্তি পৃথিবীতে এই ইচ্ছা ও কামনা রেখে মারা যায় যে, তার মৃত্যুর পর তার কবরকে মাজার বানানো হোক এবং লোকেরা তাকে প্রয়োজন পূরণকারী (দাতা) মনে করে তার নামে নযর-নিয়ায পেশ করুক ও তার পূজা (ও সিজদাহ) হোক, তাহলে সে ব্যক্তিও জাহান্নামের ইন্ধন হবে। কারণ আল্লাহকে ছেড়ে অথবা তাঁর সাথে নিজের ইবাদতের প্রতি আহবানকারী (তাগূত) নিঃসন্দেহে সেই নেক মানুষদের আওতায় কখনও পড়বে না, 'যাদের জন্য আল্লার নিকট থেকে পূর্ব হতে কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে।'