Skip to main content

يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّآ اَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكٰرٰى وَمَا هُمْ بِسُكٰرٰى وَلٰكِنَّ عَذَابَ اللّٰهِ شَدِيْدٌ   ( الحج: ٢ )

yawma
يَوْمَ
(The) Day
যেদিন
tarawnahā
تَرَوْنَهَا
you will see it
তা তোমরা দেখবে (সেদিন)
tadhhalu
تَذْهَلُ
will forget
বিস্মৃত হবে
kullu
كُلُّ
every
প্রত্যেক
mur'ḍiʿatin
مُرْضِعَةٍ
nursing mother
স্তন্যদাত্রী (মা)
ʿammā
عَمَّآ
that which
তাহ'তে যাকে
arḍaʿat
أَرْضَعَتْ
she was nursing
সে দুধপান করিয়েছে (অর্থাৎ দুগ্ধপোষ্যকে)
wataḍaʿu
وَتَضَعُ
and will deliver
ও গর্ভপাত করবে
kullu
كُلُّ
every
প্রত্যেক
dhāti
ذَاتِ
pregnant woman
সম্পন্ন
ḥamlin
حَمْلٍ
pregnant woman
গর্ভ (গর্ভবতী)
ḥamlahā
حَمْلَهَا
her load
তার গর্ভকে
watarā
وَتَرَى
and you will see
এবং দেখবে
l-nāsa
ٱلنَّاسَ
[the] mankind
লোকদেরকে
sukārā
سُكَٰرَىٰ
intoxicated
মাতালের মতো
wamā
وَمَا
while not
অথচ না
hum
هُم
they
তারা (হবে)
bisukārā
بِسُكَٰرَىٰ
(are) intoxicated
মাতাল
walākinna
وَلَٰكِنَّ
but
কিন্তু
ʿadhāba
عَذَابَ
(the) punishment
শাস্তি
l-lahi
ٱللَّهِ
(of) Allah
আল্লাহ্‌র
shadīdun
شَدِيدٌ
(will be) severe
কঠিন (শাস্তি)

Yawma tarawnahaa tazhalu kullu murdi'atin 'ammaaa arda'at wa tada'u kullu zaati hamlin hamlahaa wa tarannaasa sukaaraa wa maa hum bisukaaraa wa lakinaa 'azaabal laahi shadeed (al-Ḥajj ২২:২)

English Sahih:

On the Day you see it every nursing mother will be distracted from that [child] she was nursing, and every pregnant woman will abort her pregnancy, and you will see the people [appearing] intoxicated while they are not intoxicated; but the punishment of Allah is severe. (Al-Hajj [22] : 2)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

সেদিন তুমি দেখবে প্রতিটি দুগ্ধদায়িনী ভুলে যাবে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে, আর প্রত্যেক গর্ভবতী গর্ভপাত করে ফেলবে, আর মানুষকে দেখবে মাতাল, যদিও তারা প্রকৃতপক্ষে মাতাল নয়, কিন্তু আল্লাহর শাস্তি বড়ই কঠিন (যার কারণে তাদের ঐ অবস্থা ঘটবে)। (হাজ্জ্ব [২২] : ২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী নিজ দুগ্ধপোষ্য শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে। আর মানুষকে দেখবে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়; বস্তুতঃ আল্লাহর শাস্তি বড় কঠিন। [১]

[১] পূর্বোক্ত আয়াতে যে প্রকম্পনের কথা বলা হয়েছে যার পরিণতি এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে যার অর্থঃ মানুষের মধ্যে কঠিন ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। আর এটি ঘটবে ঠিক কিয়ামতের পূর্বমুহূর্তে, আর তার পরই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। অথবা এ ঘটনা কিয়ামতের (জন্য শিঙ্গায় ফুৎকার করার) পর ঐ সময় ঘটবে, যখন মানুষ কবর হতে উঠে হাশরের ময়দানে জমায়েত হবে। অধিকাংশ ব্যাখ্যাকারিগণ দ্বিতীয় অর্থ নিয়েছেন। আর তার সমর্থনে কিছু হাদীস পেশ করেন, যেমন মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে আদেশ করবেন যে, যেন তিনি নিজ সন্তানদের মধ্য হতে হাজারে ৯৯৯ জনকে জাহান্নামের জন্য বের করে দেন। এই কথা শুনে গর্ভবতীরা তাদের গর্ভপাত করে ফেলবে, বালকরা বৃদ্ধ হয়ে পড়বে, আর মানুষকে দেখে মাতাল মনে হবে, অথচ তারা আসলে মাতাল হবে না; বরং আল্লাহর আযাবের ভয়াবহতার জন্য এ রকম (কিংকর্তব্যবিমূঢ়) হবে। সাহাবাদের কাছে এ কথা অত্যন্ত ভারী মনে হল, তাদের চেহারার রং পাল্টে গেল। নবী (সাঃ) তা দেখে বললেন ভয়ের কিছু নেই। ৯৯৯ জনের সংখ্যা য়্যা'জূজ-মা'জূজের মধ্য হতে হবে আর তোমাদের মাত্র একজন। তোমাদের সংখ্যা অন্য মানুষদের তুলনায় এমন হবে, যেমন সাদা গরুর গায়ে একটি কালো লোম অথবা কালো গরুর গায়ে একটি সাদা লোম। আর আমি আশা করি যে, তোমরাই হবে জান্নাতের এক চতুর্থাংশ বা এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক। তা শুনে সাহাবারা আনন্দে 'আল্লাহু আকবার' ধ্বনি উচ্চারিত করলেন। (সহীহ বুখারী, তাফসীর সূরা হাজ্জ) প্রথম বক্তব্যও অমূলক নয়। কিছু দুর্বল হাদীস দ্বারা তার সমর্থন পাওয়া যায়। তাছাড়া প্রকম্পন হেতু ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার কথাই এখানে স্পষ্ট। অবশ্য একই শ্রেণীর ভয় ও আতঙ্ক উভয় সময়েই হবে। সেই জন্য দু'টি মতই সঠিক হতে পারে। কারণ, দুই সময়েই মানুষের অবস্থা হবে সে রকমই হবে, যে রকম উক্ত আয়াত ও সহীহ বুখারীর বর্ণনায় বলা হয়েছে।