Skip to main content

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بَعْدَ اِيْمَانِهِمْ ثُمَّ ازْدَادُوْا كُفْرًا لَّنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ ۚ وَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الضَّاۤلُّوْنَ  ( آل عمران: ٩٠ )

inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
disbelieved
অস্বীকার করেছে
baʿda
بَعْدَ
after
পরে
īmānihim
إِيمَٰنِهِمْ
their belief
তাদের ঈমানের
thumma
ثُمَّ
then
এরপর
iz'dādū
ٱزْدَادُوا۟
they increased
তারা বৃদ্ধি করেছে
kuf'ran
كُفْرًا
(in) disbelief
কুফরী
lan
لَّن
never
কক্ষণ না
tuq'bala
تُقْبَلَ
will be accepted
কবুল করা হবে
tawbatuhum
تَوْبَتُهُمْ
their repentance
তাদের তওবা
wa-ulāika
وَأُو۟لَٰٓئِكَ
and those -
এবং ঐসব লোক
humu
هُمُ
they
তারাই
l-ḍālūna
ٱلضَّآلُّونَ
(are) those who have gone astray
পথভ্রষ্ট

Innal lazeena kafaroo ba'da eemaanihim summaz daadoo kufral lan tuqbala tawbatuhum wa ulaaa'ika humud daaalloon (ʾĀl ʿImrān ৩:৯০)

English Sahih:

Indeed, those who disbelieve [i.e., reject the message] after their belief and then increase in disbelief – never will their [claimed] repentance be accepted, and they are the ones astray. (Ali 'Imran [3] : 90)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনার পর কুফরী করল, অতঃপর তাদের কুফরী বেড়েই চলল, তাদের তাওবাহ কক্ষনো কবুল করা হবে না এবং এ লোকেরাই পথভ্রষ্ট। (আল ইমরান [৩] : ৯০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করার পর অবিশ্বাস করে[১] এবং যাদের অবিশ্বাস-প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাদের তওবা কখনো মঞ্জুর করা হয় না। [২] এরাই তো পথভ্রষ্ট।

[১] এই আয়াতে তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে, যারা মুরতাদ হওয়ার পর তাওবা করার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কুফরীর উপরেই যাদের মৃত্যু হয়েছে।

[২] এটা হল সেই তওবা যা মৃত্যুর সময়ে করা হয়। তাছাড়া তওবার দরজা তো সবার জন্য সব সময়ের জন্য খোলা। এর পূর্বের আয়াতেও তওবা কবুল হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। এ ছাড়াও কুরআনে মহান আল্লাহ বারবার তওবার গুরুত্ব এবং তা কবুল করার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, [أَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللهَ هُوَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ] অর্থাৎ, তারা কি এটা অবগত নয় যে, আল্লাহই নিজ বান্দাদের তওবা কবুল করে থাকেন এবং তিনিই দান-খয়রাত গ্রহণ করেন, আর আল্লাহ হচ্ছেন তওবা কবুলকারী ও পরম করুণাময়? (সূরা তওবা ৯;১০৪ আয়াত) [وَهُوَ الَّذِي يَقْبَلُ التَّوبَةَ عَنْ عِبَادِهِ ] অর্থাৎ, তিনি তাঁর দাসদের তওবা গ্রহণ করেন এবং পাপ মোচন করেন এবং তোমরা যা কর তিনি তা জানেন। (সূরা শূরা ৪২;২৫ আয়াত) হাদীসসমূহে তওবা কবুল হওয়ার কথা বড়ই গুরুত্বের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কাজেই এই আয়াতে যে তওবার কথা বলা হয়েছে, তা হল একেবারে শেষ মুহূর্তের তওবা, যা কবুল হবে না। যেমন, কুরআনের অন্য এক স্থানে বলা হয়েছে,

[وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ]

“আর এমন লোকদের জন্য কোন তওবা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো নিকট মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়ে যায়, তখন বলে, আমি এখন তওবা করছি।“ (সূরা নিসা ৪;১৮ আয়াত) হাদীসেও আছে যে, "অবশ্যই আল্লাহ বান্দার তওবা মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত কবুল করে থাকেন।" (মুসনাদ আহমাদ-তিরমিযী) অর্থাৎ, জাকান্দানীর সময়ের তওবা কবুল হয় না।