وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِمْ مِّنْ اَقْطَارِهَا ثُمَّ سُـِٕلُوا الْفِتْنَةَ لَاٰتَوْهَا وَمَا تَلَبَّثُوْا بِهَآ اِلَّا يَسِيْرًا ( الأحزاب: ١٤ )
wa law dukhilat 'alaihim min aqtaarihaa summa su'ilul fitnata la aatawhaa wa maa talabbasoo bihaaa illaa yaseeraa (al-ʾAḥzāb ৩৩:১৪)
English Sahih:
And if they had been entered upon from all its [surrounding] regions and fitnah [i.e., disbelief] had been demanded of them, they would have done it and not hesitated over it except briefly. (Al-Ahzab [33] : 14)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যদি শত্রুপক্ষ (মদীনা নগরীর) চারদিক থেকে তাদের উপর আক্রমণ করতো, অতঃপর তাদেরকে কুফুরীর আহবান করা হত, তবে তারা তাই করে বসত। তাতে তারা মোটেও বিলম্ব করত না। (আল আহযাব [৩৩] : ১৪)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যদি শত্রুগণ চতুর্দিক থেকে নগরে প্রবেশ করত এবং ওদের নিকট ফিতনা চাওয়া হত, তাহলে ওরা অবশ্যই তা করে বসত; ওরা এতে বিলম্ব করত না।[১]
[১] এখানে ফিতনার দুটি অর্থ হতে পারে; প্রথমতঃ শিরক; অর্থাৎ, মদীনা বা ওদের ঘরে যদি চারিদিক থেকে শত্রু বাহিনী প্রবেশ করত এবং তাদের নিকট প্রস্তাব রাখত যে, তোমরা পুনরায় কুফরী ও শিরকের দিকে ফিরে এস, তাহলে ওরা (মুনাফিকরা) সামান্যও দেরী করত না এবং সে সময় ঘর অরক্ষিত হওয়ার কোন ওজর দেখাতো না। বরং অবিলম্বে শিরকের প্রস্তাবকে গ্রহণ করত। উদ্দেশ্য এই যে, কুফর ও শিরকের প্রতি ওরা বড় আসক্ত এবং তার দিকে ওরা সত্বর ধাবিত হয়। দ্বিতীয়তঃ বিদ্রোহ ও অন্ধ পক্ষপাতিত্ব করে যুদ্ধ; অর্থাৎ, শত্রুবাহিনী প্রবেশ করে ওদের সাথে মিলিত হয়ে ওদেরকে বিদ্রোহের জন্য প্ররোচিত করত, তাহলে ওরা অবশ্যই বিদ্রোহ করে বসত।