وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْقُرَى الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَا قُرًى ظَاهِرَةً وَّقَدَّرْنَا فِيْهَا السَّيْرَۗ سِيْرُوْا فِيْهَا لَيَالِيَ وَاَيَّامًا اٰمِنِيْنَ ( سبإ: ١٨ )
Wa ja'alnaa bainahum wa bainal qural latee baaraknaa feehaa quran zaahiratanw wa qaddamaa feehas sayr; seeroo feehaa la yaalirya wa aiyaaman aamineen (Sabaʾ ৩৪:১৮)
English Sahih:
And We placed between them and the cities which We had blessed [many] visible cities. And We determined between them the [distances of] journey, [saying], "Travel between them by night or by day in safety." (Saba [34] : 18)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাদের এবং যে সব জনপদের প্রতি আমি অনুগ্রহ বর্ষণ করেছিলাম সেগুলোর মাঝে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করে দিয়েছিলাম এবং ওগুলোর মাঝে সমান সমান দূরত্বে সফর মনযিল করে দিয়েছিলাম। (আর তাদেরকে বলেছিলাম) তোমরা এ সব জনপদে রাতে আর দিনে নিরাপদে ভ্রমণ কর। (সাবা [৩৪] : ১৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
ওদের এবং যে সব জনপদে আমি প্রাচুর্য দান করেছিলাম[১] সেগুলির অন্তর্বর্তী স্থানে দৃশ্যমান বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম[২] এবং ঐ সকল জনপদে ভ্রমণকালে বিশ্রামের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবধানে বিশ্রামস্থান নির্ধারিত করেছিলাম এবং ওদেরকে বলেছিলাম, ‘তোমরা এ সব জনপদে রাত-দিন নিরাপদে ভ্রমণ কর।’ [৩]
[১] 'যে সব জনপদে আমি প্রাচুর্য দান করেছিলাম' বলে বরকতময় শাম দেশের জনপদকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আমি সাবা' (ইয়ামান) ও শামের মাঝে পথের ধারে ধারে বহু জনবসতি আবাদ করে রেখেছিলাম। অনেকে ظاهرة শব্দটির অর্থ মিলিত করেছেন। অর্থাৎ, এক অপরের সাথে মিলিত ও সংযুক্ত। তাফসীরবিদগণ সেই জনবসতির সংখ্যা চার হাজার সাত শত বলেছেন। এটাই তাদের ব্যবসার প্রধান রাস্তা ছিল, যার সংলগ্নে সাবা' থেকে শাম পর্যন্ত কাছাকাছি জনবসতি প্রতিষ্ঠিত ছিল। যার ফলে প্রথমতঃ তাদের পানাহার ও আরাম করার জন্য পাথেয় সঙ্গে নেওয়ার প্রয়োজন হত না। দ্বিতীয়তঃ জনশূন্য হওয়ার ফলে পথে যে চুরি-ডাকাতি, লুট-মার ইত্যাদির আশঙ্কা থাকার কথা, তা ছিল না।
[২] অর্থাৎ, এক জনবসতি থেকে অপর জনবসতি নির্দিষ্ট ও পরিচিত দূরত্বে অবস্থিত ছিল এবং সেই হিসাবে তারা অতি সহজে নিজেদের সফর অতিক্রম করত। যেমন সকালে সফর আরম্ভ করলে ঠিক দুপুর পর্যন্ত কোন গ্রাম বা জনবসতি পর্যন্ত পৌঁছে যেত। সেখানে খাবারের প্রয়োজন মিটিয়ে দুপুরের আরাম করত এবং পুনরায় সফর আরম্ভ করলে রাত্রি পর্যন্ত অন্য কোন জনপদে পৌঁছে যেত।
[৩] এটা সকল প্রকার ভীতি থেকে সুরক্ষা ও পাথেয়-সামগ্রী বহন করার ব্যাপারে অমুখাপেক্ষিতার বর্ণনা যে, রাত বা দিনের যে কোন সময়ে তোমরা সফর করতে চাও কর, না জান-মালের কোন ভয়, আর না সফরের জন্য সাথে কোন সামগ্রী নেওয়ার প্রয়োজন।