Skip to main content

وَقَالُوْا نَحْنُ اَكْثَرُ اَمْوَالًا وَّاَوْلَادًاۙ وَّمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِيْنَ   ( سبإ: ٣٥ )

waqālū
وَقَالُوا۟
And they say
এবং তারা বলতো
naḥnu
نَحْنُ
"We
"আমরা
aktharu
أَكْثَرُ
(have) more
অধিক
amwālan
أَمْوَٰلًا
wealth
সম্পদসমূহে
wa-awlādan
وَأَوْلَٰدًا
and children
ও সন্তানাদিতে
wamā
وَمَا
and not
এবং না
naḥnu
نَحْنُ
we
আমরা
bimuʿadhabīna
بِمُعَذَّبِينَ
will be punished"
শাস্তিপ্রাপ্ত হবো"

Wa qaaloo nahnu aksaru amwaalanw wa awlaadanw wa maa nahnu bimu 'azzabeen (Sabaʾ ৩৪:৩৫)

English Sahih:

And they said, "We are more [than the believers] in wealth and children, and we are not to be punished." (Saba [34] : 35)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা বলত- ধন-মাল আর বাল-বাচ্চায় আমরা বেশি, আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হতে পারি না। (সাবা [৩৪] : ৩৫)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ওরা আরও বলত, ‘আমাদের ধন-জন সবার চেয়ে বেশী; সুতরাং আমাদেরকে কিছুতেই শাস্তি দেওয়া হবে না।’ [১]

[১] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা যখন আমাদেরকে পৃথিবীতে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির আতিশয্য প্রদান করেছেন, তখন কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হলেও আমাদের শাস্তি হবে না। তারা ঠিক যেন কিয়ামতের দিনকেও দুনিয়ার সাথে তুলনা করেছে যে, যেমন পৃথিবীতে কাফের ও মু'মিন সকলকে আল্লাহর নিয়ামত প্রদান করা হচ্ছে, অনুরূপ আখেরাতেও প্রদান করা হবে। অথচ আখেরাত হচ্ছে ফলাফল ক্ষেত্র, সেখানে পৃথিবীতে কৃত নিজ নিজ কর্মের ফল পাওয়া যাবে; ভাল কর্মের ভাল ফল এবং মন্দ কর্মের মন্দ ফল। আর পৃথিবী হচ্ছে পরীক্ষালয়। এখানে আল্লাহ তাআলা পরীক্ষা স্বরূপ সকলকে পার্থিব-সম্পদ প্রদান করেন। অথবা তারা পার্থিব ধন-সম্পদের আতিশয্যকে আল্লাহর সন্তষ্টির বহিঃপ্রকাশ ধরে নিয়েছে; অথচ এই রকম নয়। যদি তাই হত তাহলে আল্লাহ তাআলা তাঁর অনুগত বান্দাদেরকে সর্বাধিক ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি প্রদান করতেন।