Skip to main content

اَفَمَنْ حَقَّ عَلَيْهِ كَلِمَةُ الْعَذَابِۗ اَفَاَنْتَ تُنْقِذُ مَنْ فِى النَّارِ ۚ  ( الزمر: ١٩ )

afaman
أَفَمَنْ
Then is (one) who
তবে কি যে
ḥaqqa
حَقَّ
became due
অবধারিত হয়েছে
ʿalayhi
عَلَيْهِ
on him
তার উপর
kalimatu
كَلِمَةُ
the word
বাণী
l-ʿadhābi
ٱلْعَذَابِ
(of) the punishment?
শাস্তির (পরিত্রাণ পেতে পারে?)
afa-anta
أَفَأَنتَ
Then can you
তবে কি তুমি
tunqidhu
تُنقِذُ
save
উদ্ধার করতে পারবে
man
مَن
(one) who
যে
فِى
(is) in
মধ্যে (পড়েছে)
l-nāri
ٱلنَّارِ
the Fire?
আগুনের

Afaman haqqa 'alaihi kalimatul 'azaab; afa anta tunqizu man fin Naar (az-Zumar ৩৯:১৯)

English Sahih:

Then, is one who has deserved the decree of punishment [to be guided]? Then, can you save one who is in the Fire? (Az-Zumar [39] : 19)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

শাস্তির ফয়সালা যার উপর অবধারিত হয়ে গেছে, যে আছে জাহান্নামের আগুনে তুমি কি তাকে রক্ষা করতে পার? (আল-যুমার [৩৯] : ১৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যার ওপর দন্ডাদেশ অবধারিত হয়েছে;[১] তুমি কি তাকে রক্ষা করতে পারবে, যে জাহান্নামে আছে? [২]

[১] অর্থাৎ, আল্লাহর ফায়সালা ও ভাগ্য অনুযায়ী সে শাস্তির উপযুক্ত হয়ে গেছে। এমনভাবে সে কুফর ও যুলম এবং অন্যায় ও সীমালংঘনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, সেখান থেকে ফিরে আসা তার পক্ষে আর সম্ভব নয় এবং তাকে গুনাহতে পূর্ণরূপে এমনভাবে গ্রাস করে নিয়েছে যে, পরিশেষে সে জাহান্নামী হয়ে গেছে। যেমন আবু জাহল ও আস বিন ওয়ায়েল প্রভৃতিরা।

[২] যেহেতু নবী (সাঃ) নিজ জাতির সকল মানুষের ঈমানদার হওয়ার বড় আশা রাখতেন, সেহেতু আল্লাহ তাআলা নবী (সাঃ)-কে সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, তোমার এ আশা নিজ জায়গায় বিলকুল ঠিক, কিন্তু যার ভাগ্যে লেখা হয়ে গেছে এবং আল্লাহর দন্ডাদেশ যার জন্য অবধারিত হয়ে গেছে, তাকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না।