وَاِنَّهٗ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَاتَّبِعُوْنِۗ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ ( الزخرف: ٦١ )
Wa innahoo la'ilmul lis Saa'ati fala tamtarunna bihaa wattabi'oon; haazaa Siraatum Mustaqeem (az-Zukhruf ৪৩:৬১)
English Sahih:
And indeed, he [i.e., Jesus] will be [a sign for] knowledge of the Hour, so be not in doubt of it, and follow Me. This is a straight path. (Az-Zukhruf [43] : 61)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
‘ঈসা (’র দুনিয়াতে পুনরায় আগমন) ক্বিয়ামতের একটি নিশ্চিত নিদর্শন। অতএব তোমরা ক্বিয়ামতে সন্দেহ পোষণ করো না আর আমার অনুসরণ কর, এটাই সরল সঠিক পথ। (যুখরুফ [৪৩] : ৬১)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
নিশ্চয় ঈসা কিয়ামতের একটি নিদর্শন;[১] সুতরাং তোমরা কিয়ামতে অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করো না এবং আমার অনুসরণ কর। এটিই সরল পথ।
[১] عِلْمٌ এর অর্থ নিদর্শন। অধিকাংশ মুফাসসেরের নিকট এর অর্থ হল, কিয়ামতের নিকটতম সময়ে তাঁর আসমান থেকে অবতরণ হবে। এ কথা অনেক সহীহ ও বহুধা সূত্রে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। আর এই অবতরণ এ কথার নিদর্শন হবে যে, কিয়ামত অতি নিকটে। এই জন্যই কেউ কেউ এটাকে আ'য়ন এবং লামে যবর দিয়ে (عَلَمٌ) পড়েছেন। যার অর্থ হয়, নিদর্শন। আবার কারো নিকট তাঁকে কিয়ামতের নিদর্শন গণ্য করা হয়েছে তাঁর জন্মের অলৌকিকতার ভিত্তিতে। অর্থাৎ, যেভাবে মহান আল্লাহ তাঁকে বিনা পিতায় সৃষ্টি করেছেন, তাঁর এই জন্ম প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষকে পুনরায় জীবিত করবেন। সুতরাং আল্লাহর অলৌকিক ক্ষমতার দিকে লক্ষ্য করলে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না। إِنَّهُ তে সর্বনাম থেকে উদ্দিষ্ট হলেন ঈসা (আঃ)।